রানীশংকৈলে ঐতিহ্য হারাচ্ছে গোরক্ষনাথ শিব মন্দির

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা
রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার প্রাচীন গোরকই আশ্রম ও দুর্গা ও শিব মন্দিরের। দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলার কারণে মন্দিরটির ভিতরে এখন গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত মেলার সময় কদর বাড়ে মন্দিরটির। অন্য সময়ে খোঁজখবর রাখেন না উপজেলা প্রশাসনের লোকজন কিংবা মন্দির পরিচালনা কমিটির কেউই।  এ বছরে ১৯ ফেব্রম্নয়ারি মেলা শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রম্নয়ারি শেষ হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন জেলার মানুষের ঢল নেমেছিল। উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে নেকমরদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোরকই গ্রামে অবস্থিত এ প্রাচীন মন্দিরটি। মন্দিরটির নির্মাণ কবে হয়েছিল এবং মন্দিরটির আসল মালিকানা  সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা নেই কারোই। 'তবে মন্দিরের গেটে লেখা বর্ণনায় দেখা গেছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন যুগের মধ্যেই কূপ ও মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং নাথ সহজিয়া মতের গুরু গোরাক্ষ নাথের নামানুসারে কুপ ও স্থানের নাম হয়েছে গোরকই। গোরকই ফকিরি স্স্নান বা বারুনীর মেলা হিসেবে আজও সমানভাবে সমাদৃত। এতদ্বঅঞ্চলের মানুষের কাছে এটি একটি তীর্থ স্থান। ফাল্গুনের শিব চতুর্দশী তিথীতে পুণ্য স্নানের জন্য আগমন ঘটে অসংখ্য পুণ্যার্থীর।' মন্দিরটির সামনের দোকানদার সত্যজিত রায় জানায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মন্দির দর্শনার্থীরা এসে মন্দিরের বেহাল দশা দেখে চলে যান। বসার, খাওয়ার স্থান নেই। এমনকি নেই যাতায়াতের ভালো একটি রাস্তা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা বলেন, মেলা পরিচালনা কমিটি যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে মন্দিরের। তাছাড়া তাদের দেওয়া চাহিদা অনুযায়ী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।