ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন ভাঙনকবলিতরা

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

শেখ মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর
ফরিদপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর সংরক্ষণ কাজ চলছে -যাযাদি
ফরিদপুরের সদরপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন রোধে শুরু হয়েছে নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের কাজ। এ কাজ শেষ হলে নদীতে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। এতে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি রক্ষার পাশাপাশি রক্ষা পাবে বসতবাড়ি ও সড়ক। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে আড়িয়াল খাঁ নদের তীর সংরক্ষণের এ কাজ শুরু হয়। ২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে দশটি ভাগে বিভক্ত এ কাজের মধ্যে ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীর ড্রেজিং কাজ করা হবে। আগামী বছরের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। চরাঞ্চলের কৃষক হবি খাঁ বলেন, জন্মের পর হতেই তারা আড়িয়াল খাঁর ভাঙনের শিকার। চারবারের ভাঙনের পর বর্তমানস্থানে বসত গড়েছেন। এখন নদীর তীর বাঁধাইয়ের কাজটি ভালোভাবে শেষ হলে তারা পরিবার নিয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। নুরুল আলম নামে আরেক কৃষক জানালেন, ৫০ বছর ধরে আড়িয়াল খাঁ নদে ভাঙন দেখেছেন। এখন কাজ শুরু হওয়ায় নতুন করে বসত গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। সরেজমিন দেখা গেছে, নদের বলাশিয়া এলাকা খেতে কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে নদীর তীরে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে বস্নক তৈরির কাজ। ড্রেজিং শেষে নদীর তীরে এসব বস্নক প্রতিস্থাপন করে পাড় বাঁধাই করে দেয়া হবে। কাজের ১ নম্বর প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইকবাল হোসেন বলেন, গত বছরের নভেম্বরে কার্যাদেশ পেয়ে ড্রেজিং ও বস্নক তৈরির কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বস্নক তৈরি হয়ে গেছে প্রায় নব্বই ভাগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর সদরপুর ও চরভদ্রাসনে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া ছিল তার প্রধান অঙ্গীকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরে আসবে। ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তীরবর্তী মানুষের ভাঙনজনিত ক্ষতি রোধ হবে। কাজের মান যাতে ভালো হয় সেজন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট মেয়াদেই কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।