ঝিনাইদহে দিনের বেলা চলছে পুলিশ,র্ যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল ও মাইকিং। দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে সুনসান নীরবতা। ভুতুড়ে পরিবেশ সর্বত্র। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার চিত্র এমনই।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সামাজিক দূরত্ব আইন নিশ্চিত করতেই এ অবস্থা চলছে সারাদেশসহ ঝিনাইদহের সর্বত্র। ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। এদিকে করোনা নিয়ে আতঙ্কও রয়েছে এই জেলার মানুষের মধ্যে।
করোনা প্রতিরোধে সরকার ১০ দিন সব প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় ঝিনাইদহে গণপরিবহণ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সবই বন্ধ। ফলে শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে। শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকা আর যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ার কারণে বদলে গেছে শহরের চিরচেনা চিত্র।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব ও মানুষকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে ও রাস্তাঘাটে জনসমাগম বন্ধ করতে ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর টহল ও মাইকিং অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে জনসমাগম ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে। এদিকে রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল না থাকলেও অনেক স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক ও বিভিন্ন ধরনের স্যানিটাইজার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কেউ আসলে তার হাতে এসব উপকরণ তুলে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন পৌরসভার পক্ষ থেকে জীবণুনাশক পানি ছিটানো শুরু করেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী শহরে টহল শুরু করে। এই টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা জানায়। এ সময় শহরের পায়রা চত্বর, আরাপপুর, হামদহ, বাসটার্মিনাল এলাকাসহ জেলার সব উপজেলায় মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকাসহ করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।