আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

নকলা ও শ্রীবরদীতে দুই লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
নওগাঁর আত্রাইয়ে থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে শেরপুরে নকলা ও শ্রীবরদীতে দুই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের সেভেন স্টার শপিং মলের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের নছির উদ্দিনের ছেলে। নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। রাত ১০টায় ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের সেভেন স্টার শপিংমলের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয় পুলিশকে। আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলিম উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রোববার সকালে নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন আছে। দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা অন্যকোনো কারণ হতে পারে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত বিষয় জানা যাবে। ঘটনায় থানায় অপমৃতু্যর মামলা হয়েছে। শেরপুর : শেরপুরে নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক মৎস্য খামারের পাহারাদার খুন হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের মরাকান্দি গ্রামের চায়রা বিলসংলগ্ন একটি মাছের খামারে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পঞ্চাশোর্ধ্ব নিহত আব্দুর রফিক মিয়া নকলা উপজেলার বানের্শ্বদী গ্রামের আহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে। তিনি ওই মাছের খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মাছের খামারে পাহারা দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শ্রীবরদী (শেরপুর) : শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের বাঁধন মিয়ার বসত ঘরের দরজার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ আরজিনা বেগম (২২) মিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে বাঁধন মিয়ার স্ত্রী। এ নিয়ে ওই গৃহবধূর পিতা গাজিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে বাঁধন মিয়ার সাথে একই গ্রামের গাজিউর রহমানের মেয়ে আরজিনার ছয় বছর আগে সামাজিকভাবে বিবে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে সে দুই সন্তানের জননী। শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর লাশ দরজার সামনে দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন চিৎকার করে। পরে নিহতের বাবা গাজিউর রহমান খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের ধারণা আরজিনাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে রোববার শ্রীবরদী থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর শাশুড়ি বেলী বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।