মাধবপুরে টমটমচালক খুন তিন খুনির স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের চিনে ফেলায় টমটমচালক আউয়ালকে নির্মমভাবে খুন করে নির্জন চা-বাগানে ফেলে টমটম নিয়ে পালিয়ে যায় কিশোর দুর্বৃত্তরা। রোববার সন্ধ্যায় কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে আউয়াল হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা রোববার ভোর রাতে উপজেলার বেলঘর ও সন্তোষপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বনগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে জুবায়েদ মিয়া (১৬), বেলঘর গ্রামের আদম আলীর ছেলে মোশারফ মিয়া (১৭) ও একই এলাকার নাসির মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (১৭) নামে কিশোর কিলারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় মোবাইল, হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছোড়া ও টমটম উদ্ধার করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির করলে তিন কিশোর অপরাধী টমটমচালক আউয়ালকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাত-পা বেঁধে ছুুরিকাঘাত করে গলাকেটে খুন করে লাশ চা- বাগানে ফেলে মোবাইল ফোন ও টমটম নিয়ে যায় বলে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে সাতজন এবং টমটম বেচাকেনার সঙ্গে আরও দুইজন জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে। তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১৭ মার্চ একটি সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চোরচক্র নিহত আউয়ালকে (২০) চা-বাগানে বেঁধে রেখে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে। পরের দিন আউয়ালকে বেঁধে ফেলার পর তারা বুঝতে পারে, সে তাদের চিনে ফেলেছে। ফলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ চা-বাগানের ছনছড়ি এলাকায় ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ১৯ তারিখ টমটমের মালিক কামাল মিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।