লাকসাম সরকারি হাসপাতাল করোনা আতঙ্কে রোগীশূন্য

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

লাকসাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস আতঙ্কে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বাইরে ও ভেতরে নেই রোগী ও স্বজনদের ছোটাছুটি। কমেছে বহির্বিভাগের রোগীর সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে বর্তমান ১৪ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্স, ১ জন সহকারী নার্স ও ৪ জন ডেলিভারি নার্স কর্মরত থাকলেও রোগী ভর্তি আছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে মাত্র ১৫ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিছানা খালি পড়ে আছে। অপরদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনো রোগীর আনাগোনা নেই। তবে টিকিট কাউন্টারে দুইজন কর্মচারীকে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩৫০ হতে ৪০০ রোগী হতো, সেখানে করোনা আতঙ্কের কারণে ৫০-৬০ জনের বেশি রোগীর দেখা মেলে না। হাসপাতালের বহির্বিভাগের রেজিস্ট্রার হতে কয়েকদিনের তথ্য খুঁজে দেখা যায়, ২৮ মার্চে ৪১ জন, ২৯ মার্চ ৭৬ জন, ৩০ মার্চ ৫০ জন, ৩১ মার্চ ৬৪ জন, ১ এপ্রিল ৫৫ জন রোগী ডাক্তার দেখাতে এসেছে। বহির্বিভাগে রোগীদের সঙ্গে আসা মানুষ হাসপাতালের ফটকের বাইরের সড়কের পাঁয়চারি করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী টহলে নেমেছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা প্রচার করছেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ি থেকে বের হবেন না, বাসায় থাকবেন। এসব শুনে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। এখন যেন মারামারিও কমে গেছে। ফলে আহত হয়েও রোগী আসে না। তারা নিজেরাই বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওয়ার্ড ইন-চার্জ প্রভাতি রানী সিংহ বলেন, 'আগে ওয়ার্ডে জায়গা দেওয়া যেত না, বারান্দায় শুয়ে সেবা নিত রোগীরা। এখন ওয়ার্ডে বিছানা খালি পড়ে আছে।' তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ কারণেও এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরুষ ওয়ার্ডের এক নার্স বলেন, এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৪৫-৫০ জন রোগী ভর্তি থাকত। করোনাভাইরাসের কারণে এখন হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি থাকতে চায় না। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে।