করোনা আতঙ্কেও বসে নেই মাদক চোরাকারবারিরা

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যেও ঝিনাইদহে বেড়ে চলেছে মাদকবাণিজ্য

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে সামাজিক দূরত্ব আইন। চলছে পুলিশ,র্ যাব ও সেনা সদস্যদের টহল। মানুষের মধ্যে চলছে করোনা আতঙ্ক। আর আতঙ্কের মধ্যেও বসে নেই ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের মাদক ব্যবসায়ীদের কারবার। করোনা আতঙ্কের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের চোরা কারবার। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মাদকদ্রব্যের চালান আটকের পর তাদের অপতৎপরতা দৃশ্যমান হয়ে উঠে। গত এক সপ্তাহে ঝিনাইদহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা কমপক্ষে পাঁচটি বড় চালান আটক করে বিজিবি ওর্ যাব। যদিও সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবি ওর্ যাবের হাতে যা ধরা পড়ছে তার পরিমাণ খুবই কম। ঝিনাইদহ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরর্ যাব ও বিজিবি'র হাতে বেশ কয়েকটি মাদকের চালান আটক হয়। এর মধ্যে ১ এপ্রিল মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)-এর অধীনস্থ রাজাপুর বিওপির টহল দল দর্শনা উপজেলার হালদারপাড়া আমবাগান থেকে ৭০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল এবং শ্যামকুড় বিওপির টহল দল ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ীয়া মাঠ থেকে ২৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল আটক করে। মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকারী বিজিবি ওর্ যাবের দায়িত্বশীল পর্যায়ে জানা গেছে, গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের ৫৮ বিজিবি ২৫ হাজার ৯১৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৫০২ বোতল ভারতীয় মদ, সাড়ে ৩ লিটার বাংলা মদ, ৫০ কেজি গাঁজা ও ইয়াবা ধ্বংস করে। ধ্বংস করা এসব মাদকদ্রব্য ওই বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার প্রায় ৫৭ কিলোমিটার ভারতীয় বর্ডার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটর রয়েছে কাঁটাতারবিহীন। ওই এলাকাজুড়ে রয়েছে কোদলা নদী। ঝিনাইদহ সীমান্তে মাটিলা, লেবুতলা, মোকদ্দাসপুর, সামান্তা, বাদ্দেরআটি, কচুরপোতা, বাঘাডঙ্গা, খোসালপুর, মাসলিয়া, আন্দুলিয়া, বন্নিশাহাপুর, শ্রীনাথপুর, জলুলী ও যাদবপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে মূলত রাতের অন্ধকারে এসব মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।