কারা কোয়ারেন্টিনে ৩৫ জন

রাজশাহীতে দ্বিগুণ বন্দি দুশ্চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত হাজতি এবং কয়েদি মিলে বন্দি ছিলেন তিন হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ দিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে এই কারাগারে। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্দিদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্চের শুরুর দিকে বন্দি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এখন আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে কারাগারে বাড়ছে বন্দির সংখ্যা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যে ওয়ার্ডে ৫০ জন বন্দি থাকার কথা সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ১২০ জন। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হয় রাতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে সেখানে কারাগারে এটি নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থাই নেই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, কারাগারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। এটি একটি বড় সমস্যা। কোনোভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কারাগারে চলে এলে কী হবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'করোনা নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। বন্দিদের সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। সময়মতো গোসল, হাত ধোয়া; এগুলো আমরা নিশ্চিত করছি। পাশাপাশি নতুন বন্দি এলে কারা ফটকেই চিকিৎসক দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।' মহানগর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, আদালতে বিচারক আছেন। ছোটখাটো যেসব মামলার জামিন গ্রেপ্তারের পরই সম্ভব তাদের জামিন দিচ্ছেন। কিন্তু বড় মামলার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদের আবার জামিনের আবেদন করতে পারছেন না আইনজীবীরা। পুরনো যেসব বন্দি কারাগারে আছেন তাদেরও জামিন শুনানি হচ্ছে না। ফলে কারাগারে বন্দি আসামির সংখ্যা বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ৪০০ বন্দির জামিন হয়েছে। গিয়াস উদ্দিন জানান, কারাগারে প্রতিদিন নতুন যেসব বন্দি আসছেন তাদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হচ্ছে। আর কারাফটকেই চিকিৎসক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। অসুস্থ কেউ থাকলে তাকেও পুরোপুরি আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত কারাগারে এ রকম ৩৫ জন বন্দি আছেন।