কুড়িগ্রামে খাদ্য সংকটে দিনমজুর পরিবারগুলো

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মমিনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের মতো লকডাউনে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলাসহ ১৪টি উপজেলা। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ১৪টি উপজেলার লক্ষাধিক দিনমজুর পরিবার। তবে সরকার এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারকে খাদ্য নিরাপত্তা প্রদানের সব ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় লকডাউনে রয়েছে গোটা কুড়িগ্রাম জেলার সাধারণ মানুষ। ফলে নিত্যপণ্য, খাবারের দোকান এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রায় জনশূন্য রয়েছে হাটবাজারসহ সব এলাকা। জনসমাগম এড়াতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুররা। দারিদ্র্য ও মঙ্গাপীড়িত খরা ও বন্যার সময়ে স্থানীয় ও বহিরাগত এনজিওগুলো বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করলেও, করোনাভাইরাসের সময়ে কোনো এনজিও কিংবা বিত্তবান ব্যক্তিদের খেটেখাওয়া দিনমজুরদের পাসে সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি। উলিপুর উপজেলার পৌরসভার হাজীপাড়া জামে মসজিদের হতদরিদ্র মুয়াজ্জিন মোকসেদ আলী ৭০ ও চিলমারী উপজেলা জেলার রমনা ইউনিয়নের পঙ্গুত্ব বরণকারী বাদশা মিয়াসহ খেটে খাওয়া দিনমজুর শফিকুল, আব্দুর রশিদ, শাহাজামালসহ অনেকে জানান, প্রতিদিনের কাজের টাকা দিয়েই সংসারের জন্য খাবার আনি। করোনা থেকে রক্ষায় এখন ঘরে থাকতে হচ্ছে। কোনো কাজকর্মও নেই। যে কারণে ঘরে কোনো খাবারও নেই। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকা ৩ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, ২ কেজি ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়েছে এবং ১৯৬ মে. টন চাল ও ৬ লাখ টাকা প্রতি ইউনিয়নে ৩ মে. টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ৬ লাখ টাকা গড় অনুপাতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দিয়েছে। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।