সীতাকুন্ডের ৫ শতাধিক সেলুন মালিকের কপালে ভাঁজ

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের অধিকাংশ দোকানপাট। বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রাণ সংহার করা এ ভাইরাস ঠেকাতে সীতাকুন্ডের সব স্থানে মানুষে মানুষে বজায় রাখা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব, যাকে মূলত শারীরিক দূরত্ব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে করোনার কারণে দোকান বন্ধ থাকায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন সীতাকুন্ডের ৫ শতাধিক সেলুন মালিক। তাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। তবে কিছু কিছু সেলুন মালিক সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে খাদ্যের জোগান দিতে খোলা রেখেছেন সেলুন। কিন্তু এসব দোকানেও মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যখন হাতে অফুরন্ত কাজ ছিল তখই কেবল খেয়ে পড়ে থাকতেন সেলুনকর্মীরা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের কপালে। আরও কয়েকদিন গেলে কীভাবে তারা পরিস্থিতি সামাল দেবেন, এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। বিপাকে পড়া এসব সেলুনকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,অধিকাংশ নরসুন্দর সীতাকুন্ডের হাটে, বাজারের অলিগলি, পাড়া-মহলস্নার ছোট-বড় সেলুনে কাজ করেন। তদের সেলুনে চুল কাটার কাজ হলেই টাকা উপার্জন হয় নতুবা না। তাই এখন সেলুন বন্ধ করে কাজ-কর্মহীন দিন কাটছে তাদের। বাড়বকুন্ডের শুকলাল হাট-বাজারের সেলুন মালিক বিকাশ দাস জানান, গত ছয়-সাত দিনেই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। কোনো রকম খেয়ে, না খেয়ে আছি। সামনের বাকি দিনগুলাতে কী করব বুঝছি না। একি বাজারের সেলুন দোকানি বিকাশ শীল ও নিউটন মুন্না বলেন, হাতে জমা রাখা কিছু টাকা দিয়ে হাট-বাজার, তরিতরকারি-সবজি কিনে রেখেছিলাম। তা শেষ, এখন কী করব, পরিবার কীভাবে চলবে তা জানা নেই তাদের। তারা আরও বলেন, করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় বর্তমানে সবার অবস্থা খারাপ। এ মুহূর্তে কারও কাছে টাকা হাওলাদ চাইতে পারব না। ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে হতেই খরচের খাতা খুলবে। তখন কি দোকান ভাড়া পরিশোধ করব, নাকি পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করব।