হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে পালাল স্বজনরা

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না এমন নমুনা সংগ্রহের কথা শুনেই শরীয়তপুর সদর হাসপতাল থেকে এক নারীর মৃতদেহ নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্বজনরা। শনিবার সকাল ৯টায় জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া ওই নারীর নাম মিতু বেগম (৩৫)। তিনি শরীযতপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের শহিদুল মাদবরের স্ত্রী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ মোল্যা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রচন্ড মাথাব্যথা ও বমি হওয়ায় সকালে নিহত মিতু বেগমকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ভর্তি করার পর সে মৃতু্যবরণ করেন। প্রশাসনের উপস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিহতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের পর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনির আহমেদ খান জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে নিপা বেগমকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন তার স্বজনরা। তখনই তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের দোতালায় নারী ওয়ার্ডে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে মৃতু্যবরণ করে। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। নমুনা সংগ্রহের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হলে স্বজনরা তার মৃতু্য সনদ নিয়ে নমুনা সংগ্রহের সুযোগ না দিয়েই হাসপাতাল থেকে চলে যায়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ও জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রণেশ বোস বলেন, 'রুগীকে প্রায় অচেতন (আন-কনসাস) অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। তাকে প্রাথমিকভাবে দেখে ভর্তি নেওয়া হয়। এরপর ওয়ার্ডে নিয়ে বেডে দেওয়ার আগেই তার মৃতু্য হয়। আমি তার মৃতু্য সনদ লিখে দিয়ে তার শরীরে করোনাভাইরাস ছিল কি না এমন নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করে অপর রুগী দেখতে জরুরি বিভাগে যাওয়ার পর স্বজনরা নমুনা না দিয়েই মৃতদেহ নিয়ে কীভাবে হাসপাতাল থেকে চলে গেছে তা আমি জানি না।'