দিরাইয়ে রোগীদের মূল ভরসা এসএসিএমও

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডা. মিজানুর রহমান
দেশে করোনা নিয়ে দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে। অনেকেই ছোটখাটো অসুখ, ঠান্ডা, জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে নিকটস্থ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে সরকারি কোনো এমবিবিএস ডাক্তার না থাকলে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররাই (এসএসিএমও) মূল ভরসা হন ওই সব রোগীর জন্য। তেমনি একজন দিরাই সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. মিজানুর রহমান। তিনি ইতিমধ্যে মানুষের দুর্দিনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় ও আস্থাভাজন ডাক্তার হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সেও বড় ডাক্তারদের পাওয়া দায়। এমন অবস্থায় শত শত রোগী ডাক্তার না পেয়ে রয়েছেন বিপাকে। এ ক্ষেত্রে এসএসিএমওরা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছেন। পর্যাপ্ত পিপিই না থাকার পরও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, এফডবিস্নউসিতে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি ও বহিঃবিভাগে আগত জনগণের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যেখানে রোগীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কারণে করোনার কন্টামিনেটেড হওয়ার চান্স থাকে সেখানে অরক্ষিতভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে এই সমস্ত এসএসিএমওদের। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিরাই সরকারি হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও বাংলাদেশ ডিপেস্নামা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সগুলোতে এমনিতেই লোকবল সংকট। দিরাই সরকারি হাসপাতালে পার্শ্ববর্তী শালস্না, কালিয়াজড়ি, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার লোকজন চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিতে আসা সব-শ্রেণি পেশার মানুষকে সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিপেস্নামা মেডিকেলের সভাপতি ডা. সাহিদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মেডিকেলে ইন্টার্ন ডিপেস্নামা চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহের অনুরোধ জানান তিনি।