করোনা প্রতিরোধে নওগাঁয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসিত

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

রুহুল আমিন, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর তৎপরতা -যাযাদি
সারাদেশের মতো নওগাঁ জেলাতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হার্ড লাইনে প্রশাসন। এ সময়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ভূমিকায় সবার শীর্ষে। করোনা প্রতিরোধে অনেকটা যুদ্ধ করে যাচ্ছেন সরকারের এই দুটি দপ্তর বা সংস্থা। এদের দপ্তর ভিন্ন হলেও তাদের লক্ষ্য একটাই করোনা থেকে নওগাঁবাসীকে মুক্ত রাখা। এজন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ ও পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নির্দেশনায় রাত দিন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন তারা ও তাদের অধীনস্থরা। জানা গেছে, 'করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি ও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন থাকা যাচাইকল্পে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট ও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও নওগাঁ জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী আদেশ মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যারা সরকারের দিকনির্দেশনা মানছেন না তাদের আনা হচ্ছে শাস্তির আওতায় এবং করা হচ্ছে জেল ও জরিমানা। নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ বলেন, নওগাঁ সদরসহ ১১টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি ও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, 'করোনা এড়াতে সরকার সবাইকে নিজ নিজ ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে নওগাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হয়েছে। হতদরিদ্ররা যে যেভাবে সাহায্য সহযোগিতা চাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের জেলা কর্মকর্তা হিসেবে আমি তাদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।'