শাহজাদপুরের বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ ধানের সমারোহ

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানের সমারোহ। যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ ধানখেত। চলনবিল অঞ্চলের কৃষিভান্ডার খ্যাত শাহজাদপুর উপজেলার প্রধান কৃষিপণ্য ধান। তাই উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ফসলের খেত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ ধানের পাতা। কৃষকরা ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা সার প্রয়োগ করেছেন। শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের লক্ষ্যমাত্রা অতীতকে ছাড়িয়ে যাবে। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের অধিক ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে বোরোখেতে পার্সিং স্থাপন করাসহ নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এখন ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এ বছর ধান চাষের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। উপজেলার ডায়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, কোনোরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর গত বছরের তুলনায় ধানের বাম্পার ফলন হবে। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে কৃষকগণ ধান পরিচর্যায় বেকার-যুবকদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সঙ্গে যুক্ত কৃষকগণ এই সময়টা ইরি-বোরো খেত দেখাশুনা ও পরিচর্যা করতে পারছেন। লকডাউনের প্রভাবে পরিবহণ বন্ধ থাকলেও জ্বালানি তেল ও সার সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ম্যানেজার জাহিদ সারোয়ার জানান, বাঘাবাড়ী বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও ডিপোতে পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে, যা দিয়ে ইরি-বোরো চাষাবাদ সম্পন্ন করা যাবে।