সামাজিক দূরত্ব বোঝেন না চৌহালীর শ্রমজীবীরা

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

রোকনুজ্জামান (রকু), চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)
চৌহালী উপজেলায় দেখা মিলল কিছু কৃষাণ-কৃষাণীর। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। তারা মাঠে ব্যস্ত কৃষি কাজে। আবাদি জমির পরিচর্যায় ঘাম ঝরা রোদে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করছে। শ্রমজীবী এসব মানুষের মধ্যে নেই করোনা আতঙ্ক। তাদের চোখে মুখে ফসল বাঁচানোর চিন্তা। এদের কেউ কেউ কৃষি শ্রমিক। অন্যের জমিতে কাজ করলেই চুলোয় ওঠে ভাতের হাঁড়ি। তাই করোনা সংক্রমণ নিয়ে এরা চিন্তিত নয়। এদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দু'মুঠো ভাতের যোগান নিয়ে। বুধবার উপজেলার খাষকাউলিয়া ৭টি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব কিংবা সঙ্গ রোধের বালাই নেই সেখানকার মানুষের মধ্যে। কেউ আবাদি জমির পরিচর্যায়, কেউবা ব্যস্ত গরুর পরিচর্যায়। সচেতনতার অভাবের চেয়ে তাদের ক্ষুধা মেটানোর অভাব বেশি। তাই সরকারি নির্দেশনা কিংবা করোনা মোকাবিলায় সঙ্গ রোধে থাকার বিষয়টি এখানে উপেক্ষিত। কৃষি শ্রমিক আব্দুল মান্নান বলেন, তারা কাজ করে খান। ঘরে থাকলে পেট চলবে না। করোনার চেয়ে পেটের ক্ষুধা বেশি ভয়ংকর। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, ছোট-বড় মিলিয়ে সব সম্প্রদায়ের নিম্নআয়ের ৬০ হাজার জনগোষ্ঠী এখানে। শ্রম বিক্রিই এসব পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকার পথ। তাই নিজেদের জীবিকার তাগিদে তাদের প্রতিদিনের সকালটা শুরু হয় কাজের সন্ধানে। এসব মানুষকে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাদের খাদ্য নিশ্চিতসহ চলাফেরা বন্ধ করে দিতে হবে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, সব পেশার মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া অব্যাহত আছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোল্যা বাবুল আক্তার বলেন, নিম্নআয়ের মানুষ করোনা বোঝেই না, স্বাস্থ্য সচেতনও নয়। খেটে খাওয়া মানুষজন জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। এখানে চলাফেরাতেও নেই কোনো সীমাবদ্ধতা। এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে করোনা সংক্রমণ রোধে সঙ্গরোধ নিশ্চিত হবে।