বর্ণিল আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাগর পাড়ে উপদেষ্টাদের মিলনমেলা

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ও ফ্রেন্ডস ফোরামের উপদেষ্টাদের নিয়ে আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর তিন দিনের আয়োজনের খন্ডচিত্র লিপিবদ্ধ করা হলো। সম্পাদনা করেন- যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের বিভাগীয় সম্পাদক জ্যোতিষ সমাদ্দার বাবু।

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিনিধিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যায়যায়দিনের কর্মকর্তারা
কক্সবাজার সৈকতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ম তরিকুল ইসলাম রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল। সৈকত পাড়ে খুব সুন্দর নয়নাভিরাম দৃশ্য। এমনি এক সকাল ছিল কক্সবাজারে মিলনমেলায় আসা যায়যায়দিন প্রতিনিধি ও উপদেষ্টাদের চোখে। গত ৩০ নভেম্বর সকালে জাতীয় স্বনামধন্য দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এবং প্রতিনিধিদের মিলনমেলায় কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রার পূর্বে সবাই একই রকম টি-শার্ট পরে প্রস্তুত হয়। সামনে দুটি বিশাল ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যায়যায়দিনের কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধিরা। চলছে সবার সঙ্গে সবার ফটোসেশনের প্রতিযোগিতা। বেলা ১১টায় হোটেল সী ওয়ার্ল্ড থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সমুদ্রসৈকত লাবনী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় যায়যায়দিনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সাংবাদিকদের পরিবার-পরিজন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরা শোভাযাত্রাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। উদ্বোধনী বক্তব্যে যায়যায়দিনের প্রতিনিধিরা বলেন, 'গণমানুষের কথা তুলে ধরার লক্ষ্যে যায়যায়দিন সব সময় বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতা করে আসছে। এই শোভাযাত্রা আমাদের পাঠকদের ভালোবাসা ও সহযোগিতার প্রতীক।' শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সী বিচ লাবনী পয়েন্টে এসে শেষ হয়। পরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা যায়যায়দিনের দীর্ঘ পথচলার সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। উলেস্নখ্য, দৈনিক যায়যায়দিন দেশের গণমাধ্যম জগতে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে। কক্সবাজারে এই আয়োজনটি স্থানীয় জনগণসহ হাজার হাজার পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। শোভাযাত্রাটি উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়, যেখানে সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এই অনুষ্ঠানে দেশের সব জেলা-উপজেলার প্রায় চার শতাধিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। উপদেষ্টা ফ্রেন্ডস ফোরাম নেছারাবাদ। সমুদ্র পাড়ে ঢেউয়ের তালে জলকেলি ম মনজুর হোসেন শোভাযাত্রা শেষে যায়যায়দিনের কর্মকর্তা, সারাদেশের বিভাগ, জেলা- উপজেলার প্রতিনিধিদের জলকেলি শুরু হয়। কে আগে সমুদ্রে অবগাহন করবে, চলছে সে প্রতিযোগিতা। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সেই ঢেউয়ের তালে তালে সবাই উন্মাদনায় হারিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্র পাড়ে যায়যায়দিন পরিবারের উপস্থিতি আন্দঘন পরিবেশ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। সবার মন যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে। সবার মনে অনাবিল আনন্দ। এ সময় দল বেঁধে কেউ সমুদ্রের পানিতে নেমে বল নিয়ে, টায়ার নিয়ে খেলা করে আবার কেউ পানিতে সাঁতার কেটে, কেউ সমুদ্র পাড়ের বালির মধ্যে খেলা করে। অনেকে আবার বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বা শুধু গলায় গান গেয়ে, অভিনয় করে, আনন্দ-উলস্নাস করে। দল বেঁধে ছবি তুলে, কেউ আবার ঘোড়ার পিঠে চড়ে, কেউ আবার সমুদ্রের সি-বোর্ডে চড়ে উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মজা করছে। সমুদ্র পাড়ে যায়যায়দিন পরিবারের সদস্যদের আনন্দ-উলস্নাসের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, এ যেন এক যায়যায়দিন সৈকত। সবাই সমুদ্রের জলরাশি ও বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে পালস্না দিয়ে আনন্দ-উলস্নাসে মেতে উঠে। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সমুদ্রস্নান থেকে কেউই যেন ফিরতে চায় না। অনেক প্রতিনিধি তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়েও আনন্দ-উলস্নাসে যোগ দেন। ছোট ছোট শিশুরা মনের আনন্দে সমুদ্রের পাড়ে ঝিনুক কুড়ায়, বালু নিয়ে খেলা করে। ছোট-বড় সবার চোখ-মুখে এক অনাবিল আনন্দের ছায়া বিরাজ করছিল। এভাবেই শেষ হয় জলকেলির আনন্দ। উপদেষ্টা ফ্রেন্ডস ফোরাম মাদারীপুর। সাগর তীরে উপদেষ্টা বন্ধুদের কাবাডি খেলা ম মাসুম পারভেজ বর্তমানে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাবাডি বা হাডুডু। সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টারা কক্সবাজার সাগর পাড়ে যায়যায়দিন প্রতিনিধি সম্মেলনের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা বন্ধুদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এই কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার পর্যটক। খেলার আয়োজক যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের বিভাগীয় সম্পাদক জ্যোতিষ সমাদ্দার বাবু বলেন, 'গ্রামবাংলার জনপ্রিয় কাবাডি খেলা আমাদের জাতীয় খেলা হলেও এখন তা হারিয়ে যেতে বসেছে। জাতীয় এই খেলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমরা যায়যায়দিন প্রতিনিধি সম্মেলনে এ বছর কাবাডি খেলার আয়োজন করি। খেলাটি পরিচালনা করেন যায়যায়দিনের হেড অব মার্কেটিং মো. ইব্রাহীম খলিল স্বপন ও তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি ম্যানেজার সার্কুলেশন খন্দকার আবদুর রশিদ লিটন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যায়যায়দিনের সিনিয়র ম্যানেজার নুরুল হক। কাবাডি প্রতিযোগিতার এই ম্যাচে মুখোমুখি হয় সারাদেশের প্রতিনিধি বন্ধুরা। তারা দুটি গ্রম্নপে ভাগ হয়ে এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন। কেউ খেলোয়াড় কেউবা আবার দর্শক। খেলা দেখতে আসা কুলসুম নওয়াজ ও হাসান ফারুক বলেন, বাংলাদেশের ক্রীয়া জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট এবং ফুটবল। ফুটবলে জাতীয়ভাবে আমাদের তেমন সাফল্য না থাকলেও ক্রিকেটে সাফল্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছে। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নুরুল হক বলেন, 'কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। এই খেলা এখন আর সচরাচর দেখা যায় না। আজকে যে বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, সেটা যদি যায়যায়দিন প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রতিবছর অব্যাহত রাখা হয়, তাহলে আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে লালন করতে পারব।' কেরানীগঞ্জ যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম সভাপতি কাওসার আহমেদ ও গোসারহাট ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা নাজমুল শরীফ বলেন, 'কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। এই খেলাটি যাতে হারিয়ে না যায়, সে জন্য সারাদেশের ফ্রেন্ডস ফোরামের উপদেষ্টা বন্ধুরা কক্সবাজারের কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেন্ডস ফোরাম উপদেষ্টা শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কাবাডি খেলা কীভাবে খেলে, সেটা জানে না। যেহেতু কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা, তাই ছোটবেলা থেকেই এই খেলার সঙ্গে আমাদের পরিচিত হওয়া উচিত। প্রতিযোগিতায় যায়যায়দিন মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুটবল ক্রিকেটে যতটা সহজে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব, কাবাডি খেলায় ক্যারিয়ার গড়া অনেক কষ্টকর। এ জন্য তরুণ প্রজন্ম কাবাডি খেলার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে না। সরকারের উচিত, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা। উলেস্নখ্য, এশিয়া মহাদেশে কাবাডি খেলার উৎপত্তি। স্বাধীনতার পর জাতীয় খেলা হিসেবে বাংলাদেশে স্বীকৃতি পায় কাবাডি। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। যুগ্ম সদস্যসচিব, ফ্রেন্ডস ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি। কথামালার পর্ব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ম মো. জায়েজুল ইসলাম ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাঠকনন্দিত পত্রিকা যায়যায়দিনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশের উপজেলা-জেলা, বিভাগীয় প্রতিনিধি ও তাদের পরিবারদের নিয়ে ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এবারের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্ন ভোজের পর বিকাল ৪টায় শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। লোহাগড়া প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল জব্বারের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। হোটেল সী ওয়ার্ল্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- যায়যায়দিনের সিনিয়র ম্যানেজার নুরুল হক। যায়যায়দিনের সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. রইছ উদ্দিনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন- যায়যায়দিনের সিনিয়র ম্যানেজার মো. নুরুল হক, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, ব্যবস্থাপক (বিজ্ঞাপন) ইব্রাহিম খলিল স্বপন, প্রচার ব্যবস্থাপক মো. বিল্‌লাল হোসাইন, কান্ট্রি ডেস্ক ইনচার্জ মায়মুনা আক্তার লীনা, ফ্রেন্ডস ফোরামের বিভাগীয় সম্পাদক জ্যোতিষ সমাদ্দার বাবু, অনলাইনের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক আবু জাফর মুহাম্মদ সোহেল, চট্টগ্রাম বু্যরো প্রধান সন্‌?জীব নাথ, মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ মুছা, দৃষ্টি অ্যাডভারটাইজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান, অংকুর অ্যাডভারটাইজিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জসীম উদ্দিন, শিখড় অ্যাডভারটাইজিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. বায়েজিদ, বিশেষ প্রতিনিধি কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্নার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল জলিল, রাজশাহীর বু্যরো প্রধান বদরুল হাসান লিটন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আবদুস সালাম আরিফ, কাশিয়ানী প্রতিনিধি নিজামুল আলম মোরাদ, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি রিপন সরকার, হাওড় প্রতিনিধি মন্তোষ চক্রবর্তী প্রমুখ। বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. নুরুল হক বলেন, উপজেলা-জেলা ও বিভাগীয় প্রতিনিধিসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যায়যায়দিন ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। যায়যায়দিনের এই সফলতার অংশীদার সবাই। পত্রিকাটিকে সমৃদ্ধ করতে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সবার সহযোগিতা কামনা করে আরও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। কান্ট্রি ডেস্ক ইনচার্জ মায়মুনা আক্তার লীনা বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যায়যায়দিন তার আপন গতিতে এগিয়ে চলছে। তবে সব প্রতিনিধির সহযোগিতা কামনা করেন। গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রিন্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো আগামীতে কাটিয়ে উঠে সবার প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হতে চেষ্টা করা হবে। চট্টগ্রাম বু্যরো প্রধান সন্‌জীব নাথ বলেন, সংবাদ ও সাংবাদিককেদর মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের আরও দক্ষ ও কৌশলী হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিফ রাঈস চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- হালিফ রাঈস চৌধুরীর সহধর্মিণী আনিকা চৌধুরী। হালিফ রাঈস চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, যায়যায়দিন সেরাদের সেরা হয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করবে। পাঠকসমাদৃত এই পত্রিকাটি একদল সৎ, দক্ষ ও সাহসী কলমযোদ্ধাদের নিয়ে চলমান অবস্থান ধরে রেখে ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা তৈরি করবে। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, যায়যায়দিন পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশেনের মাধ্যমে পাঠক মহলে বেশ সমাদৃত হচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান এবং সবার সফলতা কামনা করেন। উপজেলা-জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে যায়যায়দিনের কাছ থেকে প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা কথা ওঠে আসে। পরে অংশ নেওয়া দেশসেরা জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। উলেস্নখ্য, দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষার প্রহর ফিরে আসে প্রতিনিধিদের মেলবন্ধনের মাহেন্দ্রক্ষণ। সুখ-দুখ আর ভালোবাসার হাজারও স্মৃতি নিয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের সমুদ্র পাড়ে বসে এই মিলনমেলা। মধ্য অগ্রহায়ণের হিমেল হাওয়ায় দুলছে এক ঝাঁক কলমযোদ্ধার হৃদয়। আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ভেলায় ভাসে যায়যায়দিন পরিবার। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মন মাতানো গানে সবার মন আনন্দে উৎফুলস্ন হয়ে উঠে। উপদেষ্টা ফ্রেন্ডস ফোরাম পূর্বধলা, নেত্রকোনা। সব শেষের্ যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ ম নিজামুল আলম মোরাদ সকালে রুমের ভেতর থেকে বিছানায় শুয়েই মাইকের মাধ্যমে শুনতে পেলাম সবাই নাশতা খেয়ে নিন। আমরা শোভাযাত্রায় বের হব। শোভাযাত্রা শেষে সাগরের বুকে যেমন ইচ্ছা তেমন করে চলবে আমাদের পাগলামি। হঁ্যা, কথাগুলো মাইকে বলছিলেন সারাদেশের সব প্রতিনিধির প্রাণের মানুষ, কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ, হৃদয়ের মানুষ সেই আমাদের প্রিয় নুরুল হক ভাই। মাঝেমধ্যে কানে ভেসে আসছিল আমাদের আরেকজন হাস্যোজ্জ্বল প্রিয় মানুষ রইছ ভাইয়ের কণ্ঠ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে সাগরে ঝাঁপাঝাঁপি, গান-বাজনা, ফুটবল ও কাবাডি খেলাসহ বিভিন্ন রকম আনন্দ-উচ্ছ্বাস। দেখে মনে হচ্ছে তারুণ্যের পাগলামি। সমুদ্রস্নান শেষে সবাই আবার যখন হোটেলে ফিরে দুপুরে খাওয়া শেষ করার পর শুরু হলোর্ যাফেল ড্রর জন্য টিকিট বিক্রি। সার্কুলেশন ম্যানেজার বিল্‌লাল ভাই জানালেন তিনি দুই শতাধিক টিকিট দুই-তিনজনের কাছেই বিক্রি করেছেন। এরপর শুরু হলো বিক্রির প্রতিযোগিতা। হারাতে হবে শ্রদ্ধাভাজন বিল্‌লাল ভাইকে। আগে থেকে দায়িত্ব পাওয়া সার্কুলেশন বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার লিটন ভাই ও কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিনিধি মোরাদ যৌথভাবে শুরু করল লটারি বিক্রি। সঙ্গে যোগ দিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম। কমবেশি করে অনেকেই কিনতে শুরু করল। লটারি বিক্রির গতি কম থাকায় এবং শ্রদ্ধাভাজন বিল্‌লাল ভাইয়ের কাছে পরাজয়ের ভয়ে জোরেশোরে বিক্রি শুরু করলাম প্রথমেই মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী প্রতিনিধি মো. ফিরোজ আলম বিপস্নব, কুমিলস্নার জলিল, ভোলার নূূরে আলম ফয়েজ, পিরোজপুরের মো. জহিরুল হক টিটু, বেনাপোল প্রতিনিধি মো. আশরাফের কাছে জোর করে এক হাজার টাকা করে নিয়ে ২০টি লটারি হাতে ধরিয়ে দিলাম। একে একে বেশি পরিচিত প্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি চালিয়ে পাঁচশ, এক হাজার টাকা করে বিক্রি শুরু করলাম। অনেক সহকর্মী আমাদের টিকিট কেনা নিয়ে প্রশ্ন করায় আমরাও কিনলাম। এভাবে শেষ হলো টিকিট বিক্রি। এরপর শুরু হলো লটারির ড্র। শুরুতেই আমি মঞ্চে গিয়ে আহ্বান করলাম প্রিয় নুরুল হক ভাই, স্বপন ভাই, বিল্‌লাল ভাই, লিটন ভাইকে। শুরু হলো টিকিট তোলা। এক এক করে টিকিট তুললেন নুরুল হক ভাই, বিজয়ীদের নামের ঘোষণা শুরু করি। বিজয়ীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে দিলেন স্বপন ভাই। এক একে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন নুরুল হক ভাই ও লিটন ভাই। প্রথম পুরস্কার পান যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধি মো. শাহাদাত হোসেন, দ্বিতীয় পুরস্কার পান ফেনী প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন আজাদ মালদার। লটারি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দুই দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। উপদেষ্টা ফ্রেন্ডস ফোরাম কাশিয়ানী।