গণস্বাস্থ্যের কিটের রিপোর্ট এই সপ্তাহে

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনার অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার কাজ শেষ করে এনেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বর্তমানে কিটের পরীক্ষার ডাটা প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে। এই কাজ শেষে চলতি সপ্তাহে ওষুধ প্রশাসনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, 'এখনো পরীক্ষার কাজ শেষ হয়নি। ডাটা প্রসেসের কাজ চলছে। রেজাল্ট হলে আমাকে জানাবে। তারপর আমরা জমা দেবো। আশা করছি, এই সপ্তাহ শেষে রিপোর্ট জমা হবে।' এদিকে, করোনাভাইরাস শনাক্তের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত 'জিআরর্ যাপিড ডট বস্নট' কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা এখন স্থগিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ জুন) গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে একটি চিঠি দিয়ে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখতে বলা হয়। এই বিষয়ে অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন, 'অ্যান্টিজেন্ট কিট তো গণস্বাস্থ্য স্থগিত করে নিয়েছে। শুধু অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষার রিপোর্ট জমা হবে।' গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি। এর আগে গত বুধবার করোনাভাইরাস শনাক্তে 'জিআরর্ যাপিড ডট বস্নট' কিটের উদ্ভাবক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল জানিয়েছিলেন, অ্যান্টিজেন কিটের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করার জন্য পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বিএসএমএমইউকে। ইতোমধ্যেই একটি সমন্বিত পদ্ধতি বের করেছি, এটা এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর নিয়ে শুরু থেকে নানা টানাপড়েন শুরু হয়। অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআর,বি-তে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমিত দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপরও কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।