পটুয়াখালীতে এলজিইডির ব্রিজ নির্মাণ

গ্রাম হবে শহর, স্বাভাবিক প্রবাহে ফিরবে খাল

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় ৮১ মিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত দৃষ্টিনন্দন ব্রিজের নকশা -সংগৃহীত
বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশের দক্ষিণের জনপথ পটুয়াখালী শহর এবং এর আশপাশের এলাকায় চলছে নানামুখী উন্নয়ন কাজ। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য পায়রা সমুদ্র বন্দর, একাধিক তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর পাশপাশি কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র তো রয়েছেই। সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে জেলা শহরটি এখন অনেকটাই ব্যস্ততম শহরে পরিণত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অদূরেই থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরের আদলে একটি উন্নত শহরে পরিণত হবে পটুয়াখালী। এমন পরিকল্পনা মাথায় রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে এর আশপাশের ইউনিয়নগুলোকে আরও কাছাকাছি সংযুক্ত করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছত্তার জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নকে জেলা সদরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করার পাশাপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বহালগাছিয়া খালকে আবারও তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলার পেছনের বাঁধটি অপসারণ করে সেখানে ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একইভাবে বহালগাছিয়া খালের ওপর নির্মিত গরুর বাঁধ অপসারণ করে সেখানেও ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অনেকটা হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোর মতো দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়া মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সাথে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুরিরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রিজ নির্মিত হবে। এর ফলে জেলা শহরের সাথে ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, মরিচবুনিয়া এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নতুন একটি সংযোগ স্থাপিত হবে। একইভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সাথে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং ফুলতলা খালটি প্রবহমান করতে বাঁধ অপসারণ করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্ব বিবেচনা করে মোট ১২টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হচ্ছে। এসব ব্রিজ নির্মিত হলে এই অঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে পাশাপাশি খালগুলো আবারও তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে পাবে, খালের দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করে কৃষিকাজে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আইবিআরপি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই জানান, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে গ্রামেও শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং খাল ও জলাধারগুলোকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই ব্রিজগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।