পাকিস্তান আমলের লক্ষ্য নিয়ে আইন প্রণয়নের দাবি বিএনপি সাংসদের

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয় জানিয়ে স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান আমলে যে লক্ষ্য নিয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল সেটা পূরণ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে- আমি বিচার বিভাগকে স্বাধীন করব কিনা। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। বিচার বিভাগ এখনো নির্বাহী বিভাগের অধীন। বিচার বিভাগ, উচ্চ আদালতে বিভিন্ন নির্দেশে বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে। এটি আমাদের সত্যিকার অর্থে ন্যায় ও সঠিক বিচারের অন্তরায়। দেশের প্রায় ৫০ বছর স্বাধীনতার পার হয়েছে কিন্তু এখনো আমাদের দেশে বিচারকে স্বাধীন করতে পারেনি। আজ বলতে দ্বিধা নেই- সারা বাংলাদেশে চিহ্নিত মাদকসম্রাট, চিহ্নিত মাদক পাচারকারী, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎকারীরা বিচারের আওতায় বাইরে। যদি তারা সরকারি দল সমর্থিত হয় তাহলে তো কোনো কথাই নাই। আজ বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য যে অর্থ দাবি করেছেন, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি আরও অর্থের প্রয়োজন হয় সেই অর্থ দাবি করলে আমরা অবশ্যই দেব। কিন্তু আজ বিচারব্যবস্থার যে দুরবস্থা, এই দুরবস্থা থেকে কেউ রেহায় পাচ্ছেন না। আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারি দলের বিপক্ষে যখন রায় দেওয়া হচ্ছিল এই সময়ে অনেক অধস্তন বিচারককে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে তিন ঘণ্টার মধ্যে, ছয় ঘণ্টার মধ্যে। সেই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সেটা পত্র-পত্রিকায় ঢালাওভাবে এসেছে। আমি মনে করি বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন করতে আমাদের স্বাধীনতার পূর্বে যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল, সেই লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে আমরা পূরণ করার জন্য আইন প্রণয়ন করব। সেই হিসেবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই সময় সরকারি দলের এমপিরা প্রতিবাদ করলে হারুন আরও জোর দিয়ে বলেন, হঁ্যা, পাকিস্তান আমলে। স্বাধীনতা-উত্তর পাকিস্তান আমলের কথা বলেছি। স্বাধীনতার পূর্বের কথা বলছি। এর জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজ তার (হারুনুর রশিদ) আসল চেহারা বেরিয়ে গেছে। তিনি শুধু পাকিস্তান যেতে চান না। সবকিছু নিয়ে পাকিস্তান যেতে চান। আমরা সেখানে যাব না। সেখানে ন্যায়বিচার ছিল না। আমরা ন্যায়বিচার দিয়েছি। আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কী দেখেছি সেটা তাকে জবাব দেওয়া দরকার। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। আজ উনি সংসদে বলছেন ন্যায়বিচারের কথা! শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা শেষ করেছে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।