জবিতে পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্রলীগের চার কর্মীর অনশন

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

জবি প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংকটাপূর্ণ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাসাভাড়া, শিক্ষাবৃত্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রলীগকর্মী। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা। অনশনরত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন কৌনিক স্বপ্নীল, মোহন, হৃদয় ও রাজু। ছাত্রলীগের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দ্রম্নত ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানবিক ফান্ড গঠন করে আর্থিক বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে বাস্তবসম্মত আর্থিক বৃত্তি নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে করোনা সংকটকালীন বাসাভাড়া কমানোর ব্যবস্থা করে এক মাসের ভেতর মালিক বরাবর চিঠি দিতে হবে। বাসাভাড়া জটিলতার কারণে যেসব শিক্ষার্থী বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল নিজ নিজ বিভাগে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার, সার্বক্ষণিক ডাক্তার ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহসহ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রীদের জন্য নির্মিত একমাত্র বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার দিন থেকে আবাসিক হল হিসাবে খুলে দিতে হবে। অনশনরত ছাত্রলীগকর্মী কৌনিক স্বপ্নীল বলেন, 'করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেকে বাসাভাড়া দিতে না পারায় বাসাওয়ালা তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলছে। আবার অনেকে বাসাভাড়া দিতে না পেরে নিজেরাই বাসা ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের বইপত্র, আসবাবপত্র রাখার কোনো জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্রলীগ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে। কিন্তু দাবি জানানোর এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো সমাধান তারা দেয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি।' বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে এ ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, 'মেডিকেল সেন্টার উন্নয়ের বিষয়টিতে আমরা আনন্দিত। কিন্তু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস ও ছাত্রসংসদের অফিস কক্ষ সরিয়ে নয়। মেডিকেল সেন্টার অন্য কোনো জায়গায় সম্প্রসারণ করতে হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দৈহিক সেবার জন্য যেমন প্রয়োজন, সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্যও প্রয়োজন। একটিকে রুদ্ধ করে আরেকটির উন্নয়ন চলে না। মেডিকেল সেন্টারের জন্য বিকল্প জায়গা দেখতে হবে।'