জেলে বসে শোরুমে ডাকাতি করার পরিকল্পনা
প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বিভিন্ন সময় চুরি-ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়ে পরিচয় হয়। সেখানে বসেই বড় কোনো শোরুমে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে রাজধানীর পান্থপথের ওয়ালটন শোরুমে ডাকাতি করে তারা।
গত ২৩ জুন মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন পান্থপথের ওয়ালটন পস্নাজা শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়ালটন শোরুম টিম ম্যানেজার মো. রানা মিয়া পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তদন্তের ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির কাজে অংশগ্রহণকারী ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- রবিউল ইসলাম, সুমন, রানা ও সাথী। এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ওই ডাকাতির ঘটনায় ৭-৮ জন জড়িত ছিল। তারা জেলখানায় বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরে জেল থেকে বেরিয়ে একে
অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়ালটনের শোরুমে ডাকাতি করে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, মামলায় উলেস্নখ করা হয়েছে, ২৪টি ওয়ালটন ফ্রিজ, ৫টি এলইডি টেলিভিশন, একটি মোবাইলফোন এবং ড্রাইভারের সাড়ে চার হাজার টাকা এবং হেলপারের কাছে থাকা ৮০০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। যার দাম ৬ লাখ টাকারও বেশি।
এর মধ্যে থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ১৮টি ওয়ালটন ফ্রিজ এবং তিনটি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ৭/১৫ পান্থপথ ওয়ালটন পস্নাজার মালামাল কিশোরগঞ্জ জেলার ডিলারের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নিজস্ব পরিবহণে তোলা হয়। পণ্যের চালান কপি ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও হেলপার মিরাজের কাছে হস্তান্তর করে শোরুম কর্মচারীরা চলে যান।
এর পরপরই একটি খালি পিকআপে ৭-৮ জন এসে চাপাতির ভয় দেখিয়ে ওয়ালটন কোম্পানির গাড়ির ড্রাইভার হেলপারদের গাড়িতে ওঠায় এবং বিভিন্ন জায়গায় মালামাল নামিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
ডিসি হারুন বলেন, মামলার ঘটনার তেমন কোনো ক্লু না থাকায় তদন্ত দলের তদন্ত শুরু করতে হয় বড় পরিসরে। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাইসহ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ডিসি হারুন।