ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে ফুটপাতের বেচাকেনা

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাতে বসা দোকানে কেনাকাটায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষ -বাংলানিউজ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বন্ধ অধিকাংশ দোকানপাট। একই সঙ্গে লেগেছে ঈদের আমেজ। তাই রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলগুলোর সঙ্গে বেচাকেনা জমে উঠতে শুরু করেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় রাস্তায় মানুষ কম থাকলেও সব বয়সি নারী-পুরুষের জন্য বাহারি রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের জামা-কাপড় পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। সারি সারি এসব দোকান থেকে প্রতিনিয়তই পছন্দমতো জামা-কাপড় কিনছেন নগরবাসী। ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দোকান। গত ঈদের সময়ও হয়নি কোনো বেচা-বিক্রি। বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও শুরু করতে পেরেছেন ব্যবসা। তবে তা কতদিন চলবে, তা নির্ভর করছে দেশের পরিস্থিতির ওপর। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, সামনে কোরবানির ঈদ। গত ঈদে কেনাকাটা না হওয়ায় এবার একটু চাহিদা বেশি আছে মানুষের। ঈদ যত এগিয়ে আসবে বেচাকেনা তত বাড়বে। ইতোমধ্যেই আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সিদের পোশাকসহ বিক্রি হচ্ছে শিশুদের ফ্রক, টি-শার্ট ও নানা বাহারি পোশাক। বর্তমানে মানুষের আয় কমেছে। যারা ধনী তারা ব্র্যান্ডেড শপগুলো থেকে কেনাকাটা করেন। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাতে তেমন টাকা নেই। সেজন্যই বিক্রি কম। তবে ধীরে ধীরে জমে উঠেছে ফুটপাতের বাজার। ফুটপাতের মার্কেট ভেদে ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স প্যান্ট ৩৫০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায়, টি-শার্ট ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, শাড়ি ৪৫০ থেকে দুই হাজার টাকা, বাচ্চাদের থ্রি-কোয়ার্টার জিন্স প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য হাতাকাটা গেঞ্জি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। মতিঝিল এলাকার ফুটপাতের শার্ট বিক্রেতা ইসলাম মিয়া জানান, বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় এখানে সারাক্ষণই ভিড় লেগে থাকে। বিক্রিও ভালো। বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও এখান থেকে পছন্দের জামা ও প্যান্ট কেনাকাটা করেন। বায়তুল মোকাররমের সামনে ফুটপাতের ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা সাধ্যের মধ্যে ফুটপাত থেকে পছন্দের জামা-কাপড় খুঁজে কিনে নেন। এখানে পাওয়া যায় হরেক রকমের পোশাক। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ব্যবসা না থাকলেও এরই মধ্যে জমে উঠেছে ফুটপাতের ব্যবসা। সামনের দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন তিনি।