মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির কঠোর অবস্থান

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর 'জিরো টলারেন্স নীতি'র সফলতা আনতে জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) গত ০৯ মাসে ৯১ জন আসামিসহ ৪,৬৫,৮৭,৬১৪/- টাকা মূল্যের ইয়াবাসহ অন্যান্য চোরাচালানি পণ্য আটক করে। আটককৃত ইয়াবা পাচারকারীদের তথ্যমতে, ভারত থেকে রৌমারী-রাজিবপুরের উত্তর এবং দক্ষিণ আলগারচর গ্রামে ইয়াবা পাচার হয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই গ্রামগুলো হতে ভারতীয় ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। বর্তমানে বিজিবির শক্ত অবস্থানের কারণে উলিস্নখিত এলাকায় মাদক পাচারে জড়িত অধিকাংশ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা যেকোনো উপায়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করছে। উলিস্নখিত ৯১ জন আসামির সিংহভাগই ইয়াবা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল এবং এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে কখনোই আসামি করা হয়নি। ইয়াবা পাচারকারী ব্যতীত অন্য কোনো সাধারণ জনগণ যেন কোনোপ্রকার হেনস্তা না হয় সে ব্যাপারে জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। \হগত ২২ জুন ২০২০ তারিখে জামালপুর ব্যাটালিয়নের বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহলদল কর্তৃক মামুন ও হিমু নামে ০২ জনকে ১৯৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এছাড়াও ০৭ জুন ২০২০ তারিখে তাদের আপন ফুফাতো ভাই আবুল কালাম আজাদ এবং ল্যাংড়া কামালকে হিরোইন ও ইয়াবাসহ রৌমারী বিওপির বিজিবি টহলদল কর্তৃক আটক করা হয়। সেই সময় আটককৃত ল্যাংড়া কামালকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে আবুল কালাম আজাদের পরিবার ও আলগারচরের যারা যারা মাদকের সাথে জড়িত সবারই নাম প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে মামুন ও হিমুর আটক সংক্রান্ত বিষয়টাকে পুঁজি করে স্থানীয় কিছুসংখ্যক স্বার্থান্বেষী মানুষসহ আলগারচরের সকল মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির চলমান এ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। একই সাথে জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) কর্তৃক চলমান মাদকবিরোধী তথা ইয়াবা পাচাররোধে বিজিবির গতিশীল কার্যক্রমের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ, ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। এলাকাবাসীর দাবি আলগারচর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থাসহ বিজিবির কঠোর নজরদারির দাবি অধিকাংশ মানুষের। বিজ্ঞপ্তি