ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ টন চাল বরাদ্দ

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক লাখ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বন্যাকবলিত এবং অন্যান্য দুর্যোগ আক্রান্ত, দুস্থ হতদরিদ্র ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে এ বিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ কর্মসূচি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব (ত্রাণ-১) মোহাম্মদ শাহজাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলা এবং ৩২৮ পৌরসভার অতি দরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারের জন্য পরিবারপ্রতি ১০ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তার লক্ষ্যে উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৮৭ হাজার ৭৯২ দশমিক ০৩০ মেট্রিক টন এবং পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৬টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১২ হাজার ২৭৬ দশমিক ৬৬০ মেট্রিক টন সর্বমোট এক লাখ ছয় হাজার ৮৬৯টি কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৬৮ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এসব চাল আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন। ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তাবলি অনুসরণ করতে হবে- আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পূর্ণ বিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুস্থ, অতি দরিদ্র ব্যক্তির পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। তবে সম্প্রতি বন্যাকবলিত এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্রদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করা ব্যক্তি, পরিবার, দুস্থ ও অতিদরিদ্র বলে গণ্য হবেন যে পরিবারের মালিকানা কোনো জমি নেই বা ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই। যে পরিবার দিনমজুরের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবার উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্ত মহিলা রয়েছেন, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য, অর্থসংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুই বেলা খাবার পায় না।