দাম কমেছে আপেল ও আঙুরের, চড়া মাল্টায়

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দোকানে সাজানো আপেল-আঙুর
করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া আপেল ও আঙুরের দাম কমেছে। মাসের ব্যবধানে আপেল ও আঙুরের দাম কমে প্রায় অর্ধেকে চলে এসেছে। তবে এখনও চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে মাল্টা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতে আপেল ও আঙুরের আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এ কারণে দামও কমেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবুজ রঙের আপেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা। চায়না আপেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের আপেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। রামপুরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি সবুজ আপেল বিক্রি করা আলম বলেন, আগে এই আপেল ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। করোনার কারণে সে সময় আড়তে ঠিকমত ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন বাজার স্বাভাবিক। আড়তে মালের অভাব নেই। দামও কম। ফলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। খিলগাঁওয়ে ভ্যানে ফল বিক্রি করা কামাল বলেন, আগের থেকে এখন বিক্রি ভালো, দামও কম। আড়তে মাল পর্যাপ্ত থাকায় দাম কমেছে। আগে যে আপেল ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, তা এখন ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ১৬০ টাকার লাল আপেল এখন ১১০ টাকা বিক্রি করেছি। এদিকে আপেলের পাশাপাশি বড় অঙ্কে দাম কমেছে আঙুরের। আগে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল আঙুর এখন ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাল্টা। বাজার ভেদে মাল্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগের ব্যবসায়ী কদম আলী বলেন, একমাস আগেও আঙুরের কেজি ৪৮০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দুই সপ্তাহ ধরে আঙুরের দাম কম। আড়তে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঙুর পাওয়া যাওয়ার কারণে এ দাম কমতে পারে। মাল্টার দামের বিষয়ে মালিবাগের আরেক ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, আপেল, আঙুর আড়তে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া গেলেও মাল্টার সরবরাহ কম। অথচ বাজারে মাল্টার পর্যন্ত চাহিদা রয়েছে। অপরদিকে এখন কমলা লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে মাল্টার দাম বেশি।