'অনলাইনে ক্লাস যতদিন, ৫০% বেতন ততদিন'

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ টিউশন ফি প্রদান এবং অনলাইনে মানসম্মত ক্লাস নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্যারেন্টস ফোরাম অব মাস্টারমাইন্ড স্কুল। শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাস্টারমাইন্ড স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন। এতে অংশগ্রহণ করেন স্কুলটির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ অন্যান্য বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও। মানববন্ধনে করোনা মহামারির এই সময়ে ৫০ শতাংশ টিউশন ফি প্রদান, প্রতি বছর স্কুলের টিউশন ফি বন্ধ করা, মানসম্মত অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করা, এই সময়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করা, মহামারি পরিস্থিতিতে স্কুলের বেতন সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ না করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। প্যারেন্টস ফোরাম অব মাস্টারমাইন্ড আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের মধ্যে বেতন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের প্রতি ভূমিকা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের মধ্যে বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বেতন অনেক বেশি। এই মহামারিতে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের খরচ কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। তাই যতদিন স্কুলগুলো বন্ধ থেকে অনলাইনে ক্লাস চলবে, ততদিন \হ৫০ শতাংশ বেতন নেওয়ার জন্য স্কুলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। মাস্টারমাইন্ড স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুমতাহীনা রীতু বলেন, ইংলিশ মিডিয়াম একটি স্কুলে প্রায় তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন। এখন করোনা মহামারির মধ্যে সবকিছু বন্ধ থাকায় আয় কমেছে সবারই। এর ওপর অনলাইন ক্লাস আর সরাসরি ক্লাসের মধ্যে পার্থক্য অনেক। স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের খরচও কমে গেছে প্রায় অর্ধেক। এই পরিস্থিতিতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ৫০ শতাংশ বেতন নেওয়াসহ ন্যায্য কিছু দাবি তুলে ধরেছি। এই বিষয়ে আমরা সরকারেরও সাহায্য আশা করি। ধানমন্ডির স্কলাসটিকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. রানা বলেন, আমরা নিজেরা বাড়ি-গাড়ি না করে সন্তানদের ভালোর জন্য সব কিছু করছি। কিন্তু অনলাইনে যেভাবে ক্লাস নেওয়া হয়, তা কখনোই স্কুলের মূল ক্লাসের মতো নয়। এছাড়া অনলাইনে ক্লাস করতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ডিভাইস কিনতে হয়, তার পাশে বসে সময় দিতে হয়। তাই এই সময় আগের পস্ন্যান থেকে বেরিয়ে এসে একটি নতুন প্রিপস্ন্যান করার দাবি স্কুলগুলোর প্রতি। মানববন্ধনের সভাপতি একেএম আশরাফ বলেন, আমাদের এই দাবি কোনো একটি নির্দিষ্ট স্কুলভিত্তিক নয়, বরং সামগ্রিক। আমরা অভিভাবকদের আহ্বান জানাব আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জুলাই থেকে স্কুলের বেতন না দেওয়ার জন্য। এছাড়া আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে আগামী ১৫ জুলাই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।