করোনা উপসর্গে ৩ জেলায় আরও সাতজনের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের ৩ জেলায় আরও ৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ও বুধবার কুমিলস্নায় ৪ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন এবং বাগেরহাটে ২ জন মারা যান। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- কুমিলস্না : গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিলস্নায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন চারজন। তাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থাপিত কুমিলস্না কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। হাসপাতালের পরিচালক মুজিবুর রহমান বুধবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুমিলস্নার দেবীদ্বার উপজেলার আবদুলস্নাহপুর এলাকার ৯৬ বছরের এক বৃদ্ধ কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকাল চারটা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান। কুমিলস্নার লালমাই উপজেলার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ ৭ জুলাই বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ভর্তি হয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে মারা যান। লাকসাম উপজেলার ৬২ বছরের এক ব্যক্তি ৮ জুলাই দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ভর্তি হন এবং মারা যান মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে। নাঙ্গলকোট উপজেলার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটায় ভর্তি হন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান। সাতক্ষীরা : করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান (৪০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষি কাজ করতেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস কুমার মন্ডল জানান, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আতাউর রহমান রোববার হাসপাতালে আসেন। তাঁকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। মঙ্গলবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ, ডাক্তারসহ করোনা পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ সময়ে জেলার ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আইসোলেশনে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন বারেক সেখ (৬৩) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের আইনজীবী ৪ এনামুল হক টিপু মারা গেছেন। ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার জানান, পার্শ্ববর্তী রূপসা ঘাটভোগ গ্রামের বারেক সেখ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় ফকিরহাট আইসোলেশনে ভর্তি অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান। কচুয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনি শংকর পাইক কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের একজন ডাক্তার ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে কচুয়ায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী হলো ১৬ জন। এ নিয়ে বুধবার সকাল পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মোট করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩৫৬ জন, মারা গেছেন পজিটিভ হয়ে ৭ জন, আর উপসর্গ নিয়ে ৫ জন। সুস্থ হওয়ার তালিকায় রয়েছে ১৯০ জন।