ওয়ারীতে করোনা টেস্ট বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগ

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর ওয়ারীতে বুধবার ছিল লকডাউনের ১১তম দিন -যাযাদি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা ঢাকার ওয়ারী এলাকার বাসিন্দাদের করোনা টেস্টে আগ্রহী করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইইডিসিআর ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের অনির্ধারিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসসিসি ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো যায়যায়দিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর ১১ দিনে করোনা টেস্ট করছেন মাত্র ১৫৬ জন। মঙ্গলবার সারাদিনে মাত্র ৯ জন মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে আসেন। করোনা শনাক্ত হলে সামাজিকভাবে হেয় হতে পারেন, এই ভয়ে অনেকেই টেস্ট করাচ্ছেন না। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ থেকে লকডাউন হওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি সড়কে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যেতে আলাদা টিম গঠন করা হচ্ছে। যেখানে আইইডিসিআর \হও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৮ জন প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় লোকবল থাকবে। টিমের সদস্যরা বাড়ির লোকজনের খোঁজ-খবর নেবেন। তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে চাইবেন। আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞরা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। যাদের টেস্ট করানো প্রয়োজন তাদেরকে টেস্ট করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নাগরিকদের মতামতও নেবেন তারা। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো যায়যায়দিনকে বলেন, ব্যাপক হারে করোনা টেস্টের মাধ্যমে লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাই। আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের লোকবল দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সহায়তা করবেন উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সিলিং করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য নাগরিকদের আশ্বস্ত করা। কারও করোনা হলে সে হেয়প্রতিপন্ন হবে না। সামাজিক মর্যাদারও কোনো ক্ষতি হবে না। এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগী ও তার স্বজনদের নাম পরিচয় শতভাগ গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই থেকে ডিএসসিসির ৪১ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। যা শেষ হবে আগামী ২৫ জুলাই। তবে স্থানীয়রা বলছেন, কোরবানির গরু কেনাসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজন বিবেচনা করে লকডাউনের মেয়াদকাল কমানো হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় স্থানীয় কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে লকডাউন বাস্তবায়ন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।