ময়ূর-২ লঞ্চের দুই ইঞ্জিনচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার সদরঘাটে মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের দুই ইঞ্জিনচালককে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ। তারা হলেন- শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন। নৌ-পুলিশের সুপার (ঢাকা অঞ্চল) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে এজাহারনামীয় চারজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ ওর্ যাব। শিপন ও শাকিলের আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়ূর লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার ও সুপারভাইজার আব্দুস সালাম। পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারের আসামিদের মধ্যে মাস্টার জাকির, গ্রিজার হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। গত ২৯ জুন সদরঘাট বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামে লঞ্চটি ?ডুবে গেলে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরে নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে অবহেলাজনিত মৃতু্য ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বিআইডবিস্নউটিএ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় তদন্ত কমিটি বিশ দফা সুপারিশ ও নয়টি মতামত দিয়েছে এবং ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবে গেছেন বলে উলেস্নখ করেছে। নৌ-প্রতিমন্ত্রী দুর্ঘটনার পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বলেছিলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। যদি তদন্তে প্রমাণ হয় তাহলে 'অবহেলাজনিত' অভিযোগে যে মামলা হয়েছে সেই মামলা 'হত্যাকান্ড' হিসেবে পরিণত হবে।