করোনায়ও শিক্ষাবঞ্চিত থাকেনি বর্ণমালার শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘ বিরতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মহামারিতেও বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানীর বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষাবঞ্চিত হতে দেয়নি। পাশাপাশি বিশেষ ফান্ডকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের অর্থকষ্ট লাঘবেরও উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সরেজমিন বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে দেখা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও সব কার্যক্রম চলছে সুন্দরভাবে। শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য করোনার শুরু থেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু করা হয়। বর্তমানে বাসায় নিরাপদে থেকে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে তারা। গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর বিলম্ব না করেই অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করে বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। জানা যায়, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষের নির্দেশনায় অনলাইন কার্যক্রম শুরু হয়। রাখা হয় শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর। দেওয়া হয় পড়াশোনার নির্দেশনা। রমজানেও দশম ও একাদশ শ্রেণির কিছু ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হয়। করোনায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গত ১৩ জুন ২০২০ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের খোঁজ-খবর নেওয়া এবং শিক্ষার মান অব্যাহত রাখার নিদের্শনা দেন সভাপতি। এরপর থেকে সেভাবেই চলছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও লক্ষ রাখা হচ্ছে। সভায় তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে করোনার শুরু থেকেই অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলে আসছে। নির্দেশনাক্রমে শিক্ষকরা রুটিনমাফিক ক্লাস রেকর্ড করে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করে আসছেন। প্রতিটি ক্লাসের বিষয়েই তারা সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ইনচার্জদের অবহিত করছেন। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ধরন প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ভুইয়া আবদুর রহমান বলেন, বলেন, ৩০ জন শিক্ষকের একটি তালিকা করে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের কেউ যেন অর্থকষ্টে না থাকেন সেটিও দেখা হচ্ছে। এজন্য একটি ফান্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে।