তিন জেলায় 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত তিন

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বান্দরবান, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় পুলিশ এবংর্ যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আমাদের নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ওয়াক্কাট্টা শাহ আলম (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার মুজিবুল হকের বাড়ির সংলগ্ন চীন-মৈত্রী সড়কে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলম উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের ৭নং বস্নকের কালা মিয়া ওরফে কালো চাঁনের পুত্র বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে ঘুমধুম সীমান্তের চীন-মৈত্রী সড়কে এসআই জীবন চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা অতর্কিত গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে রোহিঙ্গা শাহ আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। মো. আলমগীর হোসেন আরও জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহ আলমকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসা হলে, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই সংক্রান্তে মৃত আসামিসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা ও একটি মাদক মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি আলমগীর হোসেন। বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৪৭) নামের একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানর্ যাব-৬ এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। রামপাল থানা পুলিশ সকালে মিনা কামালের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত মিনা কামাল খুলনার রুপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। খুলনার্ যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ভেকটমারি এলাকায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল তার বাহিনী নিয়ে অবস্থান করছে এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতের্ যাব অভিযানে যায়। মাদক ব্যবসায়ীরার্ যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময়র্ যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট গোলাগুলির পর মাদক ব্যবসায়িরা পালিয়ে যায়। পরের্ যাব সদস্যরা সেখান থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পায়। তাকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি, ধারাল অস্ত্র, একটি ম্যাগজিন, ৫০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ, নারী নির্যাতন অস্ত্র মামলাসহ ২৫টি মামলা রয়েছে। নিহত কামাল পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলেও জানান এইর্ যাব কর্মকর্তা। সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন জানান, ভোরে কয়ারবিল এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলি চলছে এমন সংবাদে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তিনি বলেন, এ সময় তার পাশে একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি হাঁসুয়া, ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ২০০ পিস ইয়াবা পড়েছিল। তাৎক্ষণিক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।