মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের পর চড়া সবজির বাজার

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
রাজধানীর একটি সবজির দোকান

দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বন্যা আর ঈদের পর বাড়তি মালামাল না আসার অজুহাতে দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজির। বাজারগুলোতে আকার ও সবজিভেদে পাঁচ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুন, করলা ও উস্তার দাম। বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে শাকেও। অন্যদিকে শাক-সবজির সঙ্গে দাম বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচেরও। ঈদের আগে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা ফের ২০০ এর ঘরে গিয়ে ঠেকেছে। অপরিবর্তিত আছে মসলাজাতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ, চাল, ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম। এদিকে সবজির উচ্চমূল্য নিয়ে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার পাশাপাশি ঈদের পর বাজারগুলোতে সংকট থাকায় বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। আর ক্রেতারা বলছেন, যেকোনো ইসু্য পেলেই বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী খুচরা বাজারগুলো ঘুরে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এসব বাজারে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে এখন করলা ও উস্তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে, লম্বা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। তবে এসব বাজার এলাকার অস্থায়ী বাজার (ফুটপাত ও গলিপথ) করলা-উস্তা ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন প্রতিকেজি গাজর ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৫০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরছড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া হালিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। হালিতে পাঁচ টাকা বেড়ে লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকা। অপরিবর্তিত আছে আলু, মিষ্টি কুমড়া, ধনেপাতা, পুদিনাপাতার দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন কাঁচামরিচ (দেশি) ২০০ টাকা, আমদানি করা কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, মুলা ও কলমিশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়াশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা। আগের দাম রয়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বাজারে। এসব বাজারে (মানভেদে)পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে, আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, পুরান ৫৫ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পায়জাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, স্বর্ণ ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে, আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এক সেদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাউয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে। ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাঙ্কার ডাল ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা দরে। খোলা সয়াবিন (লাল) এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা লিটার। নাজমুল হোসেন নামে মালিবাগ বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। এখন বন্যার পাশাপাশি ঈদের কারণে বাজারে মালামাল কম আসছে। এতে দাম বেড়েছে সবজির। তবে পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কম আসবে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের ক্রেতা রাসেল। তিনি বলেন, কোনো ইসু্য পেলেই বিক্রেতারা পণ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন। এখন বাজারের সবজির সরবরাহ কমে গেছে। একইসঙ্গে ক্রেতাও কমেছে এতে দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে