শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চসিকের প্রশাসক হলেন খোরশেদ আলম সুজন

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চসিকের নবনিযুক্ত এ প্রশাসক দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করে সরকার। মেয়রের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরেই তিনি ওই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। চসিকের নতুন প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়া খোরশেদ আলম সুজন ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চবি থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রায় ৫০ বছরের বর্ণিল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অনেকবার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ এলেও তা বারবারই হাতছাড়া হয়েছে তার। অবশেষে জীবনের পড়ন্ত বেলায় সরকার তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে সম্মানিত করলেন। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে রেজাউল করিমকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেছে। এ কারণে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এতদিন চট্টগ্রাম সিটির মেয়র পদে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি এবার মনোনয়ন পাননি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি করপোরেশন) আইনে বলা হয়েছে, করপোরেশনের প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে ওই করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকাল। আর করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আ জ ম নাছির চট্টগ্রাম মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে ৬ আগস্ট। সে হিসাবে এ সিটির বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ আগস্ট। আর মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে এ সিটির নির্বাচন করতে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ভোটের সপ্তাহখানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। পরে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে এক চিঠিতে বলে, বর্তমানেও করোনা প্রভাব অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ধসের আশঙ্কা বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদকালের মধ্যে অর্থাৎ ৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে যে প্রশাসক বসানো হবে, তা সেদিনই জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাৎ হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে