শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় ট্রলার ডুবে ১৭ জন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা
  ০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
হাওড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা -যাযাদি

নেত্রকোনার মদন উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে খ্যাত উচিতপুরের হাওড়ে ঘুরতে এসে বুধবার দুপুরে রাজালীকান্দা হাওড়ে ট্রলার ডুবে ১৭ জনের মৃতু্য ঘটেছে। নিহতরা ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চরভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বলে জানা গেছে। স্থানীয়, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের চরসিরতা ইউনিয়নের চরভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৪৮ জন ছাত্র-শিক্ষক বুধবার সকালে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত উচিতপুর হাওড় এলাকায় আনন্দ ভ্রমণে আসেন। তারা একটি ট্রলারে করে উচিতপুর ঘাট থেকে গোবিন্দশ্রীর দিকে যাচ্ছিল। প্রবল বাতাসের কারণে হাওড়ে বড় বড় ঢেউ ওঠায় ট্রলারটি রাজালীকান্দা নামক স্থানে হঠাৎ কাত হয়ে ডুবে যায়। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের নৌকা নিয়ে মাছ ধরার লোকজন দ্রম্নত এগিয়ে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ট্রলারের বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে আশপাশের নৌকায় উঠতে সক্ষম হলেও ১৮ জন হাওড়ের পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ও পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতদের মধ্যে শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছে চরসিরতা মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)। ঘটনাস্থলের আশপাশে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ক্রমশই ভারী হয়ে উঠছে। মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাজালীকান্দা হাওড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই শিশু কন্যাসহ ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, মৃতদের লাশ বাড়িতে নেওয়া ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে