সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় দুদক

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রম্নপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানির বিষয়ে এখনো দিন ধার্য হয়নি। এর আগে ২৮ জুলাই সাহেদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ৫ আগস্ট তার গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। কিন্তু সাহেদ অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় এই দিন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়নি। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন ও ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য একই দিন ধার্য করবে বলে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ২৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। পরের দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি সময় আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারায় মামলা হয়। মামলার আসামিরা হলেন পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল। উলেস্নখ্য, গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার মামলায় সাতদিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। একই দিন সাতক্ষীরার অস্ত্র মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।