ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফের চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসি

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে ডিএনসিসির মশানিধন অভিযান -ফাইল ছবি
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফের চিরুনি অভিযানে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান শুরু করছে সংস্থাটি। যা আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০দিন চলমান থাকবে। ত?বে ১১ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৪ আগস্ট শুক্রবার এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে চিরুনি অভিযান বন্ধ থাকবে। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকল ওয়ার্ডে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। তবে অঞ্চল বা ওয়ার্ডভেদে প্রতিদিনের চিরুনি অভিযান শুরু ও শেষ করার সময় পরিবর্তন হতে পা?রে। ডেঙ্গু সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আজ থেকে শুরু চিরুনি অভিযান সম্পর্কে নগরবাসীকে অবহিত করতে এরইমধ্যে ডিএনসিসির সর্বত্র মাইকিং করা হয়েছে। এর আগে পরিচালিত চিরুনি অভিযানের মতো এই চিরুনি অভিযান পরিচালনার করতে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে ডিএনসিসির সব এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির ৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন মশক নিধনকর্মী থাকবেন। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশক নিধনকর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা দেখবেন। এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক কোনো উপাদান সন্দেহ হলে তা পরীক্ষা করবেন। চিরুনি অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৯ জন কীটতত্ত্ববিদ এবং ৬ জন চিকিৎসক ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবেন। এই চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিক একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের মনিটর করা হবে। চিরুনি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, গণমাধ্যম কর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের স্থাপনার ভেতরে-বাইরে, আশেপাশে তিন দিনের বেশি জমা পানি থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত নই। নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, বাড়ি বা স্থাপনার ভেতরে, বাইরে, আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকলে এক্ষুনি ফেলে দিন। তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন। ডেঙ্গু থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকুন, আপনার পরিবার, শহর ও রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখুন।