বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা উপসর্গে আরও ৮ জনের মৃত্যু

যাযাদি ডেস্ক
  ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবিটি শুক্রবার তোলা -স্টার মেইল

জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের ৪ জেলায় ৮ জনের মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার নড়াইলে ১ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, কুমিলস্নায় ২ জন এবং বরিশালে ৪ জন মারা গেছেন। আমাদের আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: নড়াইল : জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নড়াইলের এক চিকিৎসক বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. ইয়ানুর হোসেন (৩৭)। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা। নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মশিউর রহমান বলেন, ইয়ানুর হোসেন কলোড়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। কয়েক দিন আগে থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন ইয়ানুর। অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। সাতক্ষীরা : জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যক্তির মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আবদুর রহমান (৪৮)। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সেনপুর গ্রামের এরফান আলীর ছেলে। পেশায় কৃষক ছিলেন তিনি। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত ২৬ জুলাই সকাল এই হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন আবদুর রহমান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান। কুমিলস্না : কুমিলস্না কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুজন। তাদের বাড়ি কুমিলস্না সিটি করপোরেশন, আদর্শ সদর উপজেলায়। হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার সকালে এসব তথ্য জানান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি নিয়ে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ভর্তি ছিলেন কুমিলস্না সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেউরা এলাকার একজন। ৪০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাত নয়টা ১৫ মিনিটে মারা যান। একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয়তলায় ভর্তি ছিলেন কুমিলস্নার আদর্শ সদর উপজেলার একজন। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় মৃতু্যবরণ করেন। বরিশাল : বরিশালে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া নয়টার পর থেকে রাত সাড়ে সাতটার মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তারা মারা যান। হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৪ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ৭০ বছর বয়সি একজন। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। ৩০ জুলাই রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মারা যান ৬৭ বছর বয়সি একজন। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। একই দিন বেলা পৌনে দুটার দিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ৩২ বছর বয়সি এক নারী। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা। ওই নারীকে করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান ৭৫ বছর বয়সি এক নারী। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার চন্ডীপুর এলাকার বাসিন্দা। এই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ২ আগস্ট দুপুরে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে