এবার রাজাকারের তালিকা করতে চায় সংসদীয় কমিটি

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গত বছর স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজকারের তালিকা প্রকাশ করে দেশব্যাপী বির্তকের মুখে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় চলে আসায় বির্তকের জন্ম দেয়। সেই বির্তক এড়াতে এবার রাজাকারের তালিকা তৈরিতে মাঠে নামছে এ-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। এ জন্য ছয় সদস্যের একটি উপ-কমিটি করেছে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে 'বীর' শব্দটি লেখার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করে সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয় সেটি সায় দেওয়ায় এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধার আগে 'বীর' লেখা হবে। রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, এবার সংসদীয় কমিটি তালিকা তৈরি করবে। এই কাজে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন, তাদের আমরা কাজে লাগাব। আর তথ্য নেওয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে। কমান্ডারদের আমরা ব্রিফ করে দেব। তারা তালিকা তৈরি করবেন। কোনো একক কর্তৃপক্ষ তালিকা করবে না। মুক্তিযোদ্ধা এবং পৃষ্ঠা ১১ কলাম ৪ \হমুক্তিযোদ্ধার সন্তান এমপিদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সমন্বয় করবেন। রাজাকারের তালিকা তৈরিতে গঠিত উপ-কমিটির আহ্বায়ক শাজাহান খান নিজেই। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, এবি তাজুল ইসলাম ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। শাজাহান খান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয় না। ভিয়েতনামে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত চাকরি দেওয়া হয় না। আমরা তো মন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যাতে সরকারি চাকরি না পায়, সে বিষয়ে কিছু একটা করা দরকার। সে জন্য রাজাকারদের তালিকাটা দরকার। এই কাজটা এবার আমরা করব। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে 'বীর' শব্দটি লেখার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয় তাদের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। কমিটির সভাপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে বীর শব্দটি লিখতে হবে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করবে। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট ২৪টি মামলা দ্রম্নত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার সুপারিশ করা হয়। শাজাহান খান ছাড়াও কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু, রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, এবি তাজুল ইসলাম এবং মোসলেম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। \হ