সিনহা হত্যাকান্ড

তদন্তে 'নিরপেক্ষ কমিশন' গঠনের দাবি জাফরুলস্নাহর

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ সড়কের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে 'নিরপেক্ষ কমিশন' গঠনের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী। রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ দাবি জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে 'বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের নীতি প্রয়োগের প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। সংগঠনের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতির জুনায়েদ সাকি, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের রকিবুল ইসলাম রিপন, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন ও সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকান্ড কি ওসি প্রদীপের ঘটনা, না এর সাথে ভারতীয় 'র' এবং ইজরাইলের 'মোসাদ' যুক্ত আছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। এই তদন্ত করার জন্য পুলিশি ইনকোয়ারি দিয়ে হবে না। একটা নিরপেক্ষ কমিশন করে সেটা করতে হবে। ডা. জাফরুলস্নাহ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ১০% পুলিশ অফিসার আছেন তারা প্রদীপের (সদ্য সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত প্রদীপ কুমার দাশ) মতোই। বাকিরা সজ্জন। এই ঘটনার তদন্ত কমিশন না হলে এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। ভারতের আগ্রাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করে ডা. জাফরুলস্নাহ বলেন, প্রতিদিন ভারত সীমান্তে লোক মারছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো আওয়াজ নেই। অথচ নেপাল তাদের সংসদে আইন করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এ দেশের কোনো কোনো মন্ত্রী বলছেন, ভারতের সাথে রক্তের সম্পর্ক। এই রক্ত তো দূষিত রক্ত। দূষিত রক্ত দিয়ে কি হবে? পরিচ্ছন্ন রক্ত দরকার। মূলত ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে বাংলাদেশের মুক্তি নাই। এই দূষিত রক্ত থেকে মুক্তি দরকার।