মহামারিতে স্রষ্টার কৃপাদৃষ্টি চেয়ে জন্মাষ্টমীতে প্রার্থনা

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
যথাযোগ্য মর্যাদায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই মহামারিতে আর্থিক-সামাজিক দুর্বিপাক থেকে উত্তরণের জন্য স্রষ্টার কৃপাদৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মহামারির কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মাচার উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবার দেশের কোথাও শোভাযাত্রা বের হয়নি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি ও রোহিণী নক্ষত্রে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এ বছর গতকাল সকাল ৯-০৬ মিনিট থেকে শুরু করে আজ বেলা ১১-১৬ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমী তিথি থাকবে। অন্যদিকে আগামীকাল ভোর ৩টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু করে ১৪ আগস্ট সকাল ৫-২২ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্র থাকবে। আবার একটি বিশেষ যোগও সৃষ্টি হচ্ছে এ বছর। চলতি বছরে কৃতিকা নক্ষত্র লাগছে। পাশাপাশি চন্দ্রমা মেষ রাশি ও সূর্য কর্কট রাশিতে থাকবে। কৃতিকা নক্ষত্র ও রাশিগুলোর এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী প্রাঙ্গণে শুরু হয় গীতাযজ্ঞ। এই গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। তিনি বলেন, ভগবান যুগে যুগে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। এই করোনাভাইরাস মহামারিকালে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেছি। তিনি জরা, ব্যাধিমুক্ত এক পৃথিবী আমাদের দেবেন। অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে তিনি গোটা বিশ্বকে মুক্ত করবেন। মহামারিকাল শেষ হলে মানুষে মানুষে প্রীতি ও সদ্ভাবে গোটা পৃথিবী সুন্দরতম হয়ে উঠুক, আজ সেই প্রার্থনা করেছি। বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, শুরুতেই করোনাভাইরাসে পীড়িত এই পৃথিবীর জন্য প্রার্থনা করেছি। স্রষ্টার কৃপায় এই পৃথিবীতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসুক, সে প্রার্থনা করেছি। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল বলেন, জন্মাষ্টমী উৎসবের মাধ্যমে মূলত শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হলো। এরপর দুর্গা পূজার আয়োজন নিয়ে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তোড়জোড় শুরু হবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে সুস্থ ও সুন্দর এক ধরণীর প্রার্থনা করব। কিশোর জানান, রাত ৮টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মাষ্টমীর মূল পূজা হয়।