করোনাযোদ্ধাদের দুই মাসের মোটেল ভাড়া ৩২ লাখ টাকা!

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মালিকানাধীন মোটেল সৈকত ছিল করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অস্থায়ী আবাসস্থল। কিন্তু মে ও জুন মাসের ৩২ লাখ টাকা মোটেল ভাড়া পরিশোধের তাগিদ আসার পর তাদের ছাড়তে হয়েছে সেই আবাস। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন শেষে ঝুঁকি নিয়েই পরিবারের সঙ্গে তাদের থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনরত কয়েকজন চিকিৎসক। জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল ও হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য প্রশাসন মোটেল সৈকতকে রিকুইজিশন করার পর মে মাস থেকে সেখানে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তারা। তবে মোটেল সৈকত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো চুক্তি হয়নি। এ অবস্থায় দুই মাসের অস্বাভাবিক বিল পরিশোধ নিয়ে বেকায়দায় পড়েন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের-সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, সরকারের তরফ থেকে ইউটিলিটি বিল দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও মোটেল ভাড়া পরিশোধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। মে ও জুন মাসের ভাড়া এসেছে ৩২ লাখ টাকা। এই ভাড়া পরিশোধের ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, মোটেলে যারা ছিলেন তাদের জন্য ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাইরে থেকে আনা খাবারের বিল আলাদাভাবে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বর্তমানে কেউ সেখানে থাকছেন না। বরাদ্দ পেলে মোটেল \হসৈকতের ভাড়া পরিশোধ করা হবে। তিনি আরও বলেন, 'সরকার এই করোনাযোদ্ধাদের জন্য ভাতা দিচ্ছে। তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে আপাতত কিছু চিকিৎসককে সরকারি লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে রাখা হচ্ছে' বলেন তিনি। জানা গেছে, মোটেল সৈকতে ১৫৩টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে আটটি সু্যট ও ১৪৫টি ডিলাক্স রুম। সু্যট কক্ষের ভাড়া ১০ হাজার টাকা, আবাসিক কক্ষের মধ্যে এসি সু্যট রুম ভাড়া সাত হাজার, এসি ডিলাক্স কুইন রুম তিন হাজার, এসি স্ট্যান্ডার্ড টুইন বেড তিন হাজার, নন-এসি টুইন বেড ভাড়া নেওয়া হয় দুই হাজার ৫০০ টাকা। মে-জুন মাসে প্রতিদিন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকার জন্য মোটেল সৈকতে গড়ে ৪০-৫০টি কক্ষ ব্যবহার করেন। মোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক সরোয়ার উদ্দিন বলেন, নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে আরও কম হিসাব করে দুই মাসের ভাড়া এসেছে ৩২ লাখ টাকা। এই ভাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিশোধ করবে।