জাতির জনক কোনো দল বা গোষ্ঠীর হতে পারে না : জি এম কাদের

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বনানীতে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের -সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, জাতির জনক কোনো দল বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। জাতির জনক সব দলের, সব মানুষের। শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আজ যারা রাজনীতি করছে, সবার উচিত জাতির জনককে মেনে নিয়ে রাজনীতি করা। তার অবদানকে স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ দেশের সব মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ অপরিসীম।' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রামের রোল মডেল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সকল প্রেরণার উৎস। তার জীবনী অনুসরণ করলে সব সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। তিনি সকল অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তাই শক্তিশালী ও নির্যাতনকারী পাকিস্তানি সরকারের নির্দেশনা অমান্য করেও দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চলেছেন। প্রতিপক্ষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু উদারতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।' এরশাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতার মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'অপ্রত্যাশিত কিছু কারণে তখন তিনি তা করতে পারেননি। কিন্তু জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের মর্যাদা দিয়েছেন।' এসময় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বন্ধ এবং দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের করোনা আক্রান্ত এবং বন্যার্তদের সহায়তা করতে নির্দেশ দেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খানের মালিকানাধীন নারগানা ইন্টারন্যাশনাল রিসোর্টে সন্ত্রাসী হামলা এবং লুটপাটের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।' এ সময় নারগানা ইন্টারন্যাশনালে হামলা এবং লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আজম খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ অন্যরা।