সব ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি :ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট আর ২১ আগস্টের হত্যাকান্ড একইসূত্রে গাঁথা। সব হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। সব হত্যা, সন্ত্রাস অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভায় নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি। কাদের বলেন, সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার পেছনে বিএনপি সরকারের মদদ থাকায় রাষ্ট্রযন্ত্র নীরব ছিল। তখন বিএনপির হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার। দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি, নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, জনবল ও বোমা সরবরাহ এতসব একদিনে গড়ে ওঠেনি। 'রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন নীরব ছিল কেন? নিশ্চয়ই সরকার প্রশ্রয়দাতা আর পৃষ্ঠপোষক ছিল। না হয় কীভাবে এ দীর্ঘপ্রস্তুতি জঙ্গিরা গ্রহণ করল।' তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলায় কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ঠাঁই নেই। প্রশ্রয়ও নেই কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির। সব ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে জনগণের ভালোবাসা এবং সমর্থন নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে চলমান যাত্রা তা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। অদম্য গতিতে পৌঁছে যাবে অর্জনের সোনালি দিগন্তে। তিনি বলেন, 'আগস্ট মানে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। বাঙালি জাতি তথা বিশ্ব ইতিহাসের কলঙ্কের দিন। এই মাসে আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির পিতা ও তার পরিবারের সবাইকে। এমন নৃশংস রাজনৈতিক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। আবার এই মাসেই ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালে মুন্সিগঞ্জ বাদে ৬৩ জেলার ৫০০ স্থানে বোমা হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই জাতির পিতা হত্যার বিচার হয়েছে। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে আবার সে হত্যার বিচার যেন করতে না পারে, সেজন্য ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে। হত্যা, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদকে বিএনপিই এদেশে প্রশ্রয় ও লালনপালন করে ক্যানসারে রূপান্তর করেছে উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, এখনো তারা সে চর্চা অব্যাহত রেখেছে। নিলর্জ্জভাবে তারা গুম খুনের কথা বলে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই তারা কি অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করেনি? ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর হতে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খুনিদের বাঁচাতে যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় আবারও ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারিতে অপারেশন ক্লিনহার্টের হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি দিয়েছিল। আজ তারা মানবাধিকার, হত্যার বিচারের কথা বলে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।