শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
জি-২০ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু শরণার্থী সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক সমর্থন জোরদার করুন

শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়, এমন কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব
যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গণভবন থেকে এফ-২০ ফাউন্ডেশন্স আয়োজিত 'রিসাইলেন্স অ্যান্ড রিকোভারি :হাইলাইটিং সলিউশন্স ফর দ্য জি-২০ অন ক্লাইমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি' শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন -ফোকাস বাংলা

বাস্তুচু্যত বা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে শরণার্থী হওয়াদের সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক সমর্থন জোরদারে জি-২০ নেতারা আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'সবার শান্তি ও সুরক্ষা মূলত নির্ভর করবে আমরা কীভাবে নিরীহ মানুষের এমন জোরপূর্বক বাস্তুচু্যতকরণ হওয়া রোধ করতে সক্ষম হব, এর ওপর।' মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে এফ-২০ ফাউন্ডেশন্স আয়োজিত 'রিসাইলেন্স অ্যান্ড রিকোভারি : হাইলাইটিং সলিউশন্স ফর দ্য জি-২০ অন ক্লাইমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি' শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'এটা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো আর কেউ বোঝে না, কারণ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচু্যতরা এখানে রয়েছে। তারা এখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ।' 'আমি জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোকে ক্ষতি ও ধ্বংসের বিষয়টি মূল ধারায় তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্বের অনেক স্থানেই পরিবেশের ক্ষতি স্থায়ী এবং অপূরণীয় হয়ে উঠছে,' বলেন তিনি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহ তহবিলের (এলডিসিএফ) মতো বিশ্বব্যাপী অর্থায়ন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে পুনরুত্থিত হয়েছে। জলবায়ু এবং স্থায়িত্বের বিষয় দুটি পারস্পরিক নির্ভরশীল উলেস্নখ করে তিনি বলেন, জি-২০ দেশসমূহের অর্থনীতি বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ, বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভূমি এসব অঞ্চলে রয়েছে।' 'ফলে বিশ্ব জলবায়ু এবং স্থায়িত্বের জন্য কোনো সন্তোষজনক ফলাফলের জন্য অবশ্যই জি-২০ এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জি-২০ এর আগে দেখিয়েছিল, যৌথভাবে কীভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়,' বলেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনকে বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'এটি আন্তঃদেশীয় সমস্যা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়- এমন কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।' 'স্থায়িত্বের ক্ষেত্রেও এ কথাটি প্রযোজ্য। কোথাও স্থায়িত্বের ভাঙন হলে সর্বত্র ভাঙনের কারণ হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন চূড়ান্ত অস্তিত্বের জন্য হুমকি এবং নিকট ও সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি আরও খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।' অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন এফ-২০ কো চেয়ার যুবরাজ বেসমবিন্ট বদর, কিং খালিদ ফাউন্ডেশন এবং এফ-২০ চেয়ার ক্লাউস মিল্ক। ইউএনবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে