ঘর গোছাতে শুরু করেছে খুলনা আওয়ামী লীগ

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

খুলনা অফিস
দীর্ঘদিন পর রাজনীতির মাঠে সচল হয়েছে খুলনা আওয়ামী লীগ। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন স্থানীয় নেতারা। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, ভঙ্গুর সাংগঠনিক কাঠামো সচল করা, অপূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়গুলো নিয়ে এগোচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা। ইতোমধ্যে থানা পর্যায়ে বর্ধিত সভার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দায়িত্বশীলরা বলছেন, দলের কাঠামো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, খুলনা আওয়ামী লীগ এখন অনেকটাই অগোছালো। গেল মার্চ মাসে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার আগে ওয়ার্ড, থানা ও নগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রস্তুতি চলছিল। তবে করোনার কারণে সেসব কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। চলতি মাসের প্রথম থেকে আবার সচল হতে শুরু করেছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড। যেসব ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই সেসব সাংগঠনিক শাখাগুলোতে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষে সম্প্রতি খুলনা সদর এবং সোনাডাঙ্গা থানায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি সচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নগরীর খালিশপুর থানায়ও বর্ধিত সভা হয়েছে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে, নগরীর ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টি ওয়ার্ডেই সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। বাকি ছিল খালিশপুর থানার ১২ নং ওয়ার্ড এবং খুলনা সদর থানার ২৮ নং ওয়ার্ড। এ দুটি ওয়ার্ডেও খুব শিগগিরই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫ বছর পর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং ৪ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়। সেবারই প্রথম খুলনায় একসঙ্গে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক হন এমডিএ বাবুল রানা। অন্যদিকে জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। নগর ও জেলা সম্মেলনের আগে নগরীর ৫টি থানার মধ্যে চারটি থানায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কাজ শেষ হয়। শুধুমাত্র সদর থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা বাকি ছিল। অন্যদিকে জেলা সম্মেলনের আগে সাংগঠনিক ৯ উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। যেসব উপজেলার মধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি সেগুলোও নতুন করে পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে কাজ শুরু হয়েছে। সদর থানার বর্ধিত সভা হয়েছে। থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে অচিরেই। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এখন দল গোছানোর কাজে সক্রিয় হতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সুবিধাবাদী ও অনৈতিক ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি ওয়ার্ড, থানা ও নগরসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রক্রিয়া চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। খসড়া কমিটি করে সভাপতি সাধারণ-সম্পাদককে দেখাতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে এমন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।