ফ্যানে ঝুলছিল বড় বোন, মেঝেতে ছোট বোনের লাশ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
তারা দুজন কিশোরী। দুই বোন গলা জড়াজড়ি করে পরস্পরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিনিময় করার কথা। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার কথা। কিন্তু বিধি বাম! আনন্দের বদলে দুই বোনই একসঙ্গে চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। বড় বোন সুমাইয়া আখতার মীমের লাশ ঝুলছিল ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে, আর ছোট বোন জান্নাতুল মাওয়ার লাশ পড়েছিল মেঝেতে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর গণেশপুর মহলস্নার বাসা থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ ওই জোড়া লাশ উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মৃতু্যর কারণ জানাতে পারেননি। তারা দুজনেই স্কুলছাত্রী ছিল। সুমাইয়া আখতার মীমকে তার ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ও অন্যদিকে জান্নাতুল মাওয়াকে অন্য ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা ট্রিপল নাইনে ফোন করে জানায়। এরপর পুলিশ এসে তাদের দু'বোনের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নগরীর গণেশপুর এলাকার মমিনুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং সুমাইয়া আখতার মীম এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তারা দুজন চাচাতো-জেঠাতো বোন। পুলিশ জানায়, জান্নাতুল মাওয়ার গলায় বেস্নড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে কেন, কীভাবে তারা আত্মহত্যা করল বা কেউ তাদের হত্যা করেছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সময় বাবা-মা কুড়িগ্রামের উলিপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মারুফ আহাম্মেদের নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা উদ্‌ঘাটন করার চেষ্টা করেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দু'বোনের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মারুফ আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত বলা যাবে।