একসঙ্গে চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন শারমিন বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এ সময় একসঙ্গে চার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও তিন সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। বাবা সাইফুল ইসলামের বলেন, 'এক সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আলস্নাহ একসঙ্গে চারজন দিয়েছেন।'
তবে শুক্রবার সকালে এক সন্তান মারা গেছে। এ নিয়ে মা শারমিন ও বাবা সাইফুল বেদনাহত হলেও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা মেনে নিয়েছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আলস্নাহ একসঙ্গে চারজন দিয়ে একজনকে নিয়ে গেছেন। তিন কন্যাসন্তান যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকে, এখন আলস্নাহর কাছে এই চাওয়া।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গৃহবধূ শারমিন বেগমের স্বামী সাইফুল মিয়া বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরে। তবে তারা এখন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আবদুলস্নাহপুর গ্রামে বাস করছেন। বিয়ে করেছেন পাঁচ বছর আগে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকে শারমিন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহানের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রসবব্যথা নিয়ে শারিমন বেগম ভৈরব পৌর শহরের মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্ধ্যায় গাইনি সার্জন ইসরাত জাহান তার অস্ত্রোপচার করেন।
শুক্রবার দুপুরে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মা ও সন্তানদের বিশেষ পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গাইনি বিশেষজ্ঞ ইসরাত জাহান বলেন, নিয়মিত চেকআপে তিন সন্তানের ছবি স্পষ্ট ছিল। সেভাবেই প্রস্তুতি ছিল। শেষ পর্যন্ত চার সন্তানের জন্ম হলো। তবে জন্মের পর এক সন্তান মারা গেছে। অস্ত্রোপচারে কোনো সমস্যা হয়নি। ৩০ মিনিটের মধ্যে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
