শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দাম চড়া, স্বস্তি ইলিশে

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ইলিশ মাছ

সপ্তাহের ব্যবধানে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। তবে কমেছে অধিকাংশ শাকের দাম। আঁটিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে বেশির ভাগ শাকের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, চাল, ডাল, তেল ও মসলার দাম। এদিকে মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে রুপালি ইলিশের। শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিদরে। আর কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে, কেজিতে ১০ টাকা কমে উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিদরে। আকার ও মানভেদে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। প্রতিকেজি হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, গাজর (আমদানি) ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মানভেদে ঝিঙ্গা-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিদরে। কাঁচামরিচ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিদরে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, মুখিকচু ও কাঁচকলা। এ বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, মুখিকচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আঁটিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে শাকের দাম। এসব বাজারে প্রতিআঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, মুলা ও কলমিশাক ১০ থেকে ১২ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। আগের দাম চাওয়া হচ্ছে লাউ ও কুমড়ার শাকে। বর্তমানে লাউ ও কুমড়াশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল ও মসলার দাম। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরানো ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে। গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম ৪৫ টাকা ও আঠাশ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিদ্ধচাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিদরে। প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি মসুরের ডাল (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা হাফিজ জানান, এখন পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ নেই পাইকার বাজারে। সেখানে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে। যেভাবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। সস্তায় মিলছে ইলিশ:সপ্তাহের ব্যবধানে সাদা মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও দাম কমেছে রুপালি ইলিশের। কেজিপ্রতি ইলিশের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে বিক্রিও বেড়েছে এ মাছটির। অন্যদিকে, মুরগির দামও কমেছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে ডিম, গরু ও খাসির মাংস। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে রুপালি ইলিশের। এসব বাজারে দাম কমে প্রতিটি সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়, এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়, ৭৫০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৫৫০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, আধা কেজির চেয়ে ছোট প্রতিটি ইলিশ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ইয়ামিন নামে মালিবাগ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, দাম কম হলে সবাই খেতে পারে। এখন তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় সবাই ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন। হাবিব নামে এ বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, এখন ইলিশের বিক্রি বেশি হওয়ায় আমি অন্য মাছ বাদ দিয়ে শুধু ইলিশ বিক্রি করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে