সাফল্যগাথা

হ্যান্ডপেইন্টে স্বপ্ন ফুলবাড়ীর আন্‌জুমান আরা হীরার

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ইউনুছ আলী আনন্দ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
হ্যান্ডপেইন্ট ডিজাইন করছেন আন্‌জুমান আরা হীরা -যাযাদি

স্বামীর সংসার গোছানো, সন্তানদের দেখভাল করা এবং স্বামীর সেবায় ব্রত থাকার পরও নিজেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত করার দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের চন্দ্রখানা গ্রামের উদ্যমী নারী আন্‌জুমান আরা বেগম ওরফে হীরা (৩৬)। অর্থনীতিতে অনার্স পাস করা এই নারী তার ১২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন তার ছোট মেয়ে জন্ম হওয়ার পর। দুই সন্তান জন্ম হওয়ার পরই স্বামীর সংসারে আত্মনিয়োগের মাধ্যমেই মূলত তার চাকরিজীবনের ইতি ঘটে। ঢাকায় স্বামীর চাকরির সুবাদে বসবাস শুরু হয় মিরপুরের শ্যাওড়া পাড়ায়। তিনি কিছু একটার উদ্যোগ নেন। স্বামী জাহিদুল ইসলাম, বড় ভাই হাবিবুর রহমান হাবীব ও বন্ধু রেজাউর রহমান রাজীবের প্রেরণায় শুরু করেন কাপড়ের ওপর সুঁই-সুতা আর হ্যান্ড পেইন্টের কাজ। বাজার থেকে এক কালারের শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, বেডশিট কিনে এনে সেগুলোতে সুঁই-সুতা ও রঙতুলির নৈপুণ্যতায় বিভিন্ন ডিজাইন করা শুরু করেন। মাত্র কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া এই কাজে তার শৈল্পিক মননশীলতায় সুঁই-সুতা ও হ্যান্ড পেইন্টে ওইসব কাপড়ের পোশাক ফিরে পায় নজরকাড়া সৌন্দর্য। গ্রাহক এসব পোশাক এক নজর দেখে চোখ ফেরাতে পারেন না। কিনে নেন অনেকটা সুলভ মূল্যে। মাত্র এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে এসব পোশাক কিনতে পাচ্ছেন। হীরা বলেন, আমি সুঁই-সুতা আর হ্যান্ড পেইন্টে থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, তাঁতের শাড়ি, বেডশিট, বেবি কাঁথা ও নকশী কাঁথার কাজ করছি। আপাতত একাই এসব কাজ ঢাকায় বসে করছি। গ্রাহকরা আমার ডিজাইনকে পছন্দ করে মাত্র এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে এসব প্রডাক্ট কিনছেন। আন্‌জুমান আরা বেগম হিরা আরও বলেন, আমার এসব প্রডাক্ট দেশের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের বাইরেও যাচ্ছে।