বিদেশফেরত কারাবন্দি সেই ৮৩ জনের মুক্তি প্রশ্নে হাইকোর্টে রুল জারি

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ভিয়েতনাম-কাতারফেরত সেই ৮৩ বাংলাদেশিকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগান। তিনি জানান, আদালত এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাবন্দি। এরপর তাদের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগান। বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনামফেরত। দুজন কাতারফেরত। তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন বলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই দুই দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, গ্রেপ্তার ৮৩ জনের মধ্যে দুজন কাতারফেরত। বাকিরা সবাই ভিয়েতনামফেরত। তারা সেখানে কোনো অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনো আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। গত ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এর মধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।